সংক্রমণের গতি রুখতে প্রশাসনের পাশাপাশি এগিয়ে এল বিভিন্ন মন্দির ও মসজিদ কমিটি। গত কয়েক দিন ধরেই ভাঙড় ২ ব্লক এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনির সঙ্গে মাইকে করোনা সতর্কতায় বার্তা শোনা যাচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। মন্দির থেকেও প্রচার চলছে করোনা সচেতনতায় বিভিন্ন বার্তা।
ভাঙড়ে প্রতিদিন দ্রুত হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে শয্যা নেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার অধীনে থাকা সেফ হোমগুলিতে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভাঙড় ২ ব্লকের ভোগালি সেফ হোমে এই মুহূর্তে ২২ জন সংক্রমিত ভর্তি রয়েছেন। ব্লক এলাকায় এখনও পর্যন্ত অ্যাক্টিভ রোগী ৩৫।
ইতিমধ্যেই ভাঙড় ২ ব্লক প্রশাসন করোনা মোকাবিলায় কী কী করণীয় তা নিয়ে পুলিশ, স্বাস্থ্য দফতর, পুরোহিত, ইমাম, বাজার কমিটি-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে বৈঠক করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারগুলিতে মাইকে সচেতনতার বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। বিভিন্ন মন্দির ও মসজিদ কমিটিও এগিয়ে আসছে সচেতনতায়।
ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারের জামা মসজিদের মোয়াজ্জেম কুদ্দুজ মোল্লা বলেন, “প্রতিদিনই বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই মানুষকে সচেতন করতে মসজিদ থেকে সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া হচ্ছে।”
কাশীপুর মন্দির উন্নয়ন কমিটির অন্যতম কর্তা তথা স্থানীয় পুরোহিত বিজয় ভট্টাচার্য বলেন, “কোভিড পরিস্থিতিতে ভক্তদের মন্দিরে আসতে নিষেধ করেছি। যাঁরা আসছেন, বাইরে থেকে ফুল, ফল, মিষ্টি দিয়ে চলে যাচ্ছেন। সবাইকে অনুরোধ করছি মাস্ক ব্যবহার করতে এবং দূরত্ব-বিধি বজায় রাখতে।”
ভাঙড় ২ ব্লকের বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় বলেন, “করোনা মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করতে।”