এই যন্ত্রের জরেি এলাকার বাড়িতে ফাটল বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
কলকাতার পর বাড়িতে ফাটল ধরার আতঙ্ক এ বার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর এলাকায়। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বিদ্যালয়-সহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, চৌহাটি এলাকায় বহুতল নির্মাণের কাজে এক ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। তার জেরেই আশপাশের বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, বেশ কয়েক মাস ধরে সোনারপুরের চৌহাটি এলাকায় একটি বহুতল নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছিল প্রজেক্টর মেশিন। সেই কাজ চলায় অতিমাত্রায় কম্পন ছড়িয়ে পড়ত এলাকায়। যার ফলে চৌহাটি হাইস্কুল এবং তার আশপাশের কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই নির্মীয়মাণ ওই বহুতলটির কর্মীদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। অগত্যা পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় কাউন্সিলর রাজীব পুরোহিত বলেন, ‘‘আমার কাছে যখন খবর আসে, তখন আমি নির্মীয়মাণ সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্তের সঙ্গে কথা বলি। বিষয়টি তাঁকে দেখতে বলি। সংস্থার আধিকারিকেরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বসতে চাইলেও তাঁরা বসতে রাজি হননি। এর পরে সংস্থার পক্ষ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সোনারপুর থানার আইসি কয়েক জন ক্ষতিগ্রস্তকে ডেকে বৈঠক করেন। নির্মীয়মান সংস্থা ক্ষতিপূরণ দেবে বলেও আশ্বাস দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারাও বিষয়টি মেনে নেন।’’
নির্মীয়মাণ বহুতলের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটির ইঞ্জিনিয়ার দু’একটি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ঘুরে দেখেন। তবে এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। এ নিয়ে সোনারপুরেরই বাসিন্দা তথা সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘চৌহাটি এলাকায় বেসরকারি সংস্থাগুলি হাঙরের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আশপাশের বাড়িতে ফাটল ধরছে অথচ কারও হেলদোল নেই। যাঁদের বাড়িতে ফাটল ধরছে তাঁদের পাশে কি কেউ দাঁড়াবে না?’’ পুরসভার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস বলেন, ‘‘এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ এসেছে। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। তার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy