এমনিতেই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার আট এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকায় সরকারি ট্যাপকলের জলের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। জলের সঙ্গে বালি বেরোচ্ছিল বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সপ্তাহ তিনেক ধরে দুই ওয়ার্ডের ওই সব এলাকার ট্যাপকলে জল সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে বহু পরিবারের।
পার্থ সরকার নামে আট নম্বর ওয়ার্ডের তরুণ পল্লির এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘কেনা জলের উপর অনেককে নির্ভর করতে হচ্ছে। আগেও ভাল জল পাচ্ছিলাম না।’’ বিভাস হালদার নামে নালন্দা এলাকার এক যুবকের কথায়, ‘‘অনেকের বাড়িতে নিজস্ব নলকূপ নেই। আবার যাঁদের বাড়িতে আছে, তা থেকে বের হওয়া জল কিছুক্ষণ পাত্রে রাখলে হলুদ হয়ে যায়। তাই আমরা চাই দ্রুত পানীয় জল সরবরাহ শুরু হোক।’’পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আট নম্বর ওয়ার্ডের তরুণ পল্লি ও কালীতলার একটি অংশ ছাড়াও তিন নম্বর ওয়ার্ডের নালন্দা, নতুনগ্রামের বেশ কিছু জায়গা জুড়ে সমস্যা হচ্ছে। পুরসভার তরফে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক রাখা হয়েছে দুই ওয়ার্ডের কয়েকটি জায়গায়। পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার বলেন, ‘‘বিষয়টি জানি। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। জলের সঙ্গে বালি বেরোনোর কারণে অনেক পাইপে বালি আটকে রয়েছে। সেগুলি বের করা হচ্ছে। জলস্তর নেমে যাওয়ায় এই সমস্যা হতে পারে।’’
বৃহস্পতিবার দুপুরে তরুণ পল্লিতে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে পাম্প হাউসে কাজ করছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের কর্মীরা। জলস্তর নেমে যাওয়ার কারণে আরও গভীরে পাইপ বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তাঁরা জানান। ভুক্তভোগীরা জানান, যাঁদের সামর্থ্য আছে, তাঁরা জল কিনে খাচ্ছেন। আগে ট্যাপকলের জল কিছুক্ষণ বালতিতে ধরে রাখলে নোংরা বা বালি নীচে থিতিয়ে পড়ত। তার পরে সেই জল রান্না, জামাকাপড় ধোয়া বা স্নানের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)