Advertisement
E-Paper

বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরলেও তার ঝুলছে বিপজ্জনক ভাবে

বিশপুর গ্রামের ঘোলাপাড়া থেকে বিশপুর বাজারে যাওয়ার মূল রাস্তার মাঝ বরাবর বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে ৪৪০ ভোল্টের কালো কভার দেওয়া বিদ্যুতের কেব‌্ল।

নবেন্দু ঘোষ

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২০ ০৩:৩৯
ঝুঁকি: এই তার নিয়েই আশঙ্কা। —নিজস্ব চিত্র

ঝুঁকি: এই তার নিয়েই আশঙ্কা। —নিজস্ব চিত্র

সমস্যা ছিল অনেক। তারই একটা বিদ্যুৎ। ঝড়ের পরে ভেঙে পড়া খুঁটি সরিয়ে নতুন খুঁটি পুঁতে বিদ্যুৎ আনা গিয়েছে প্রায় এক মাস পরে। কিন্তু মিটেও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বিশপুর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার উপরে বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে রয়েছে বিদ্যুতের কেব্‌ল তারগুলির উপরে ইনস্যুলেশন (ঢাকা) থাকলেও যেখান থেকে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে, সেটি খোলা। বড় গাড়ি এমনকী, ভ্যান পার হতে গেলেও ওই তারে আটকে যাচ্ছে। গ্রামের বাসিন্দারা তা নিয়ে প্রাণভয়ে থাকলেও বিদ্যুৎ দফতর অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি নয়।

বিশপুর গ্রামের ঘোলাপাড়া থেকে বিশপুর বাজারে যাওয়ার মূল রাস্তার মাঝ বরাবর বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে ৪৪০ ভোল্টের কালো কভার দেওয়া বিদ্যুতের কেব‌্ল। যে অ্যালুমিনিয়ামের কেব‌্‌ল থেকে অনেকগুলি কেব‌্ল বেরিয়েছে, সেটি অনাবৃত। রাস্তা থেকে বড় জোর ৯ ফুট উপরে ঝুলে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কোনও মাল বোঝাই গাড়ি গেলেই ওই তারে আটকে যাচ্ছে। লাঠি দিয়ে কেব্‌লটি উঁচু করে তুললে তবে পার হচ্ছে গাড়ি। ইঞ্জিন ভ্যান গেলেও ওই তারে আটকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। অভিলাষ করণ, সমরেশ মণ্ডলেরা বলেন, “বিদ্যুৎ আসার পর থেকেই এই অবস্থা। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের বলেও কাজ হয়নি।”

বিশপুর খেয়াঘাটের ঢালাই রাস্তার পাশে বাচ্চাদের হাতের নাগালেই ঝুলছে বিদ্যুতের কেব্‌ল। সেগুলি আবৃত যদিও। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, “বিপদ হতে কতক্ষণ! আগে তো এগুলো অনেক উপরেই ছিল। বিপদের আশঙ্কা থেকেই তো এমন সাবধনতা নেওয়া হয়। কোনও ভাবে কেবল ছিঁড়ে গেলে সর্বনাশ হবে।” এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ভ্যান-সাইকেল-টোটো-বাইক নিয়ে অনেক মানুষ বিশপুর খেয়াঘাটে যান। সকলেই উদ্বিগ্ন। বিশপুর গ্রামের মিস্ত্রি পাড়ার গৌর সরকারের বাড়ির সামনের রাস্তায় পোস্ট ভেঙে গিয়েছে। বিদ্যুতের তার বিপজ্জনক ভাবে একটা গাছের গায়ে জড়িয়ে রাখা আছে। গৌর বলেন, “আমপানের পরে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে কেব্‌ল মাটিতে পড়েছিল। ঝড়ের কয়েক দিন পরে সেই তার না তুলেই বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দেওয়া হয়। বারবার অভিযোগ করেছি। কিন্তু কেউ আসেনি।” হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বিদ্যুৎ সরবরাহ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার জ্যোতি চক্রবর্তীর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে কোনও কথা বলব না।”

Cyclone Amphan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy