মাধ্যমিকের প্রথম দিন পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে এসে বলেছিল, “ভাল হয়েছে।” তার পর একটি ফোন আসে। অন্য ঘরে গিয়ে ফোনে কথা বলে সে। তার কিছু ক্ষণ পর ওই নাবালিকাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় তার ঘরে। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের নাম সোনালি খাতুন। উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগর থানার গুমা এলাকার বাসিন্দা ছিল সে।
পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল ওই নাবালিকা। নানা ভাবে ওই যুবক তাকে উত্যক্ত করতেন। অনেক সময় হুমকিও দিতেন। সোমবার পরীক্ষা দিয়ে এসে পরিবারের সঙ্গেই খোস মেজাজে ছিলেন ছাত্রী। এর পর ওই যুবকের ফোন আসে। ফোন কথা বলে ওই ছাত্রী। পরিবারের অভিযোগ, তার পরেই ফাঁকা ঘরে গিয়ে আত্মঘাতী হয় সোনালি। এ নিয়ে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে পরিবার। পরিবারের অনুমান, সোনালিকে জোর করে বিয়ে করার চাপ দেওয়া হচ্ছিল। অভিযুক্তের বাড়িও গুমা-২ পঞ্চায়েতের ছোট বামুনিয়া এলাকায়। ওই যুবক পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনালির বাড়ি দত্তপুকুর থানা এলাকায় হলেও, বামুনিয়ায় দিদার কাছেই থাকত সে। কয়েক বছর আগে তার মা আজমিরা বিবি মারা যান। গুমা রবীন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠ স্কুলে পড়ত সোনালি। রাজিবপুর গার্লস স্কুলে পরীক্ষা পড়েছিল তার।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত হয়ে গেলে নাবালিকার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেবে। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।