নাবালিকাদের যৌন নির্যাতনের দুটি পৃথক মামলায় একই দিনে শাস্তি ঘোষণা করল ডায়মন্ড হারবার আদালত। শনিবার এক দোষীকে ২০ এবং অন্য জনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিলেন বিচারক।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার আদালত দুটি নাবালিকা যৌন নির্যাতনের মামলা শোনে শনিবার। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। একটি ঘটনায় অভিযুক্ত এক গৃহশিক্ষিকার পুত্র। দীপাঞ্জন মণ্ডল নামে ওই যুবককে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ফলতা এলাকায় পাঁচ নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করেছেন তিনি। তা ছাড়া নানা রকম অশ্লীল ভিডিয়ো দেখাতেন পাঁচ অপ্রাপ্তবয়স্ককে। ওই মামলায় আদালত তিন নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে সাড়ে চার লক্ষ টাকা এবং দু’জনকে ৭৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
অন্য দিকে, ২০১১ সালের ২৫ মে উস্তির আমালারচক মাঠে ১২ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে সাইফুদ্দিন মোল্লা ওরফে বাবুলালকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লক্ষ টাকা জরিমানার (অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড) আদেশ দেয় আদালত। দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ১৬ জুলাই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
এই দুই মামলাতেই দ্রুত তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট নির্যাতিতাদের পরিবার। সরকারি আইনজীবী দিবাকর পাখিরা ও কামাল শাহদের দাবি, পুলিশের সক্রিয়তা এবং ট্রায়াল মনিটরিং সেলের তৎপরতায় মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জ়োনাল) মিতুন দে বলেন, ‘‘যদি এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে, লজ্জা বা ভয় না পেয়ে দ্রুত থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশের তরফে নিগৃহীত বা নির্যাতিতের পরিচয় গোপন রেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’