লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
কারও বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। কারও নাম জড়িয়েছে চুরি-ডাকাতিতে। কেউ আবার অস্ত্র আইনে অভিযুক্ত হয়ে বেশ কয়েক মাস ‘ফেরার’। কেউ একাধিক খুন বা রাজনৈতিক নেতাদের মদতে বার বার এলাকা ‘কাঁপানোয়’ অভিযুক্ত। ভাঙড়ের এমন অভিযুক্তদের তালিকা তৈরি করছে লালবাজার।
মাসখানেক আগে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙড়কে আলাদা ডিভিশন করে দ্রুত পদক্ষেপ করার কথা বলেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ে লাগাতার অশান্তির জেরেই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। প্রশাসনিক স্তরে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স ছাড়াও নতুন করে আরও আটটি থানা তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, আপাতত ভাঙড়ে অপরাধ দমনকেই ‘পাখির চোখ’ করছে পুলিশ। তাই এলাকার অপরাধের ধরন বুঝে নেওয়ার পাশাপাশি দাগি অপরাধীদের চিহ্নিত করার তোড়জোড় চলছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকেরা ওই এলাকার দাগি অপরাধীদের তালিকা বানানোর কাজ শুরু করেছেন। একাধিক অপরাধে কার কার নাম জড়িয়েছে, রাজনৈতিক নেতাদের মদতে কাদের বিরুদ্ধে ঝামেলায় জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে চাইছেন কর্তারা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বোমা-গুলি চলার একের পর এক ঘটনা ঘটেছিল ভাঙড়ে। ভোটের আগেও একই অভিযোগ উঠেছে। তাই অস্ত্র আইনে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে চাইছেন লালবাজারের কর্তারা। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাঙড়ে কলকাতা পুলিশের কয়েকশো কর্মী মোতায়েন ছিলেন। লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার কর্মীরাও ছিলেন। তাঁদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি স্থানীয় থানার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে লালবাজার।
পুলিশের এক আধিকারিক জানান, কলকাতা আর ভাঙড়ে অপরাধের ধরনে বিস্তর ফারাক। ফলে সেখানে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখাই চ্যালেঞ্জ। অপরাধীদের চিহ্নিত করা থাকলে লাগাম পরানো সম্ভব বলে তিনি জানান। ভাঙড়ে কাজ করতে গিয়ে যাতে অসুবিধা না হয়, তাই আগাম ব্যবস্থা সেরে রাখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy