প্রতীকী ছবি।
চা স্বাদু না হওয়ায় এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পাশের এক চায়ের দোকানি এর প্রতিবাদ করায় তাঁকেও কোপানো হয় বলে অভিযোগ। রবিবার ভোর ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়ার বিড়া লক্ষ্মীপুর এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম আবদুল কাদের মণ্ডল (৬২)। বাড়ি স্থানীয় নারায়ণপুর এলাকায়। জখম ব্যক্তির নাম রউফ আকুঞ্জি ওরফে কালু। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরজিকরে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর এলাকার লোকজন অভিযুক্ত সিরাজুল মণ্ডলকে মারধর করে বেঁধে রাখেন। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় সিরাজুলকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরে সিরাজুল চা খেতে গিয়েছিল লক্ষ্মীপুরের একটি চায়ের দোকানে। ওই দোকানে বহুদিন ধরে কাজ করতেন কাদের। দোকানটি সারা রাত খোলা থাকে। সিরাজুল আগেও ওই দোকানে ভোরে চা খেয়েছে। আনাজ ও ফলের কারবার করে বলে তার কাছে সবসময় দা থাকে। পুলিশ জানিয়েছে, দোকানে গিয়ে সিরাজুল চা দিতে বলে কাদেরকে। কাদের তাকে চা করে দেন। কিন্তু চা খাওয়ার পর সিরাজুলের ভাল লাগেনি বলে জানায় কাদেরকে। কাদের ফের তাকে চা করে দিতে যান। অভিযোগ, সে সময় সিরাজুল তার কাছে থাকা ধারাল দা দিয়ে কাদেরের কানে ও মাথায় কোপ দেয়। কাদের দোকানের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে। সিরাজুল এলোপাথাড়ি তাঁকে কোপাতে থাকে।
কাদেরের ভাইপো রবিউল রহমান বলেন, ‘‘কাকাকে কুপিয়ে সিরাজুল পঞ্চায়েত অফিসের দিকে যায়। রউফ কাকাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে খুন খুন করে চিৎকার শুরু করলে সিরাজুল সেখানে এসে জানতে চায় এই খুন কে করল। রউফ সিরাজুলকে বলেন তুই তো খুন করলি।’’ অভিযোগ, ওই কথা শুনে সিরাজুল রউফকে তাড়া করে। দৌড়তে দৌড়তে রউফ মাটিতে পড়ে যান ও সিরাজুল তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে বলে অভিযোগ।
রউফের চিৎকারে আশপাশের লোকজন সিরাজুলকে ধরে ফেলেন। শুরু হয় গণপিটুনি। বেঁধে রাখা হয় তাকে। পুলিশ জানিয়েছে, কেন সিরাজুল খুন করল তার নির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে সিরাজুল দিন কয়েক ধরে অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। রবিবার রাতে সে নিজের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কী কারণে বছর তেতাল্লিশের সিরাজুল এমন আচরণ করছিল তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy