বাড়িতে বসে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কাজ করছিলেন। হঠাৎ বাড়ির লোকজন দেখেন কাগজপত্র নিয়ে লুটিয়ে পড়েছেন প্রৌঢ়। শুরু হয় হাঁকডাক, চিৎকার-চেঁচামেচি। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়া বিএলওকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না দেখে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে। পরিবার সূত্রে খবর, এসআইআরের কাজ করতে করতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর গোপালনগরের বিএলও সুশান্ত টিকাদার।
বনগাঁর গোপালনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০৬ নম্বর পার্টের বিএলও সুশান্ত গত সোমবার দুপুরে বাড়িতে বসে এনুমারেশন ফর্ম আপডেটের কাজ করছিলেন। সেই সময় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বাড়ির লোকজন তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি দেখে নদিয়ার কল্যাণী গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে রেফার করেন।
বর্তমানে কল্যাণীর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে সুশান্তের। কন্যা শ্রেয়া টিকাদার জানান, বাবার শারীরিক পরিস্থিতি ভাল নয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। বুধবারও শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি তাঁর। মেয়ের দাবি, এসআইআরের কাজ নিয়ে চিন্তা করতে করতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বাবা। তরুণী বলেন, ‘‘সোমবার বাড়িতে কাজ করতে করতে বাবা বললেন, ‘অসুস্থ লাগছে।’ তার খানিক ক্ষণের মধ্যে পড়ে যান। আমি কাকাকে ডাকি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আসলে কাজ করতে করতে বাবার প্রেশার বেড়ে গিয়েছিল। ডাক্তার জানালেন, হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
বিএলও-র অসুস্থতায় স্বাভাবিক ভাবে উৎকণ্ঠায় পুরো পরিবার। সুশান্তের ভাই নীলাঞ্জন টিকাদার বলেন, ‘‘বড়়দা এসআইআরের কাগজপত্র নিয়ে বসেছিল। কাজ করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কাজের চাপ তো একটা বিষয়ই।’’