পুলিশি-টহল: বাসন্তীতে। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে জেরে ফের উত্তেজনা ছড়াল বাসন্তীতে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুই তৃণমূল কর্মী। আহতদের নাম মহত শেখ ও শাহরুখ শেখ। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার চরাবিদ্যা পঞ্চায়েত এলাকার ৪ নম্বর পেটুয়াখালিতে।
অভিযোগ, এ দিন সকালে যুব তৃণমূল কর্মী সফিকুল লস্কর, তাজের আলি লস্করের বাড়িতে গিয়ে তাদের মারধর করে এলাকার তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য নাজমা শেখের বাবা জুলমত শেখ ও তাঁর অনুগামীরা। ঘটনায় ওই দুই যুব তৃণমূল কর্মী জখম হন। কিছুক্ষণ বাদেই এলাকার যুব তৃণমূল নেতা করিম লস্কর, জাফর শেখ, মসিউর শেখ ও তাঁদের অনুগামীরা একত্রিত হয়ে জুলমত শেখের বাড়ির সামনে জড়ো হয় বলে অভিযোগ। জুলমতের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। সেখানেই ছিলেন জুলমতের ভাইপো মহত ও ছেলে শাহরুখ। দু’জন গুলিবিদ্ধ হন। বাসন্তী থানার পুলিশ এসে গুলিবিদ্ধ দুই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে দু’জনকেই কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসুর নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী এলাকায় যায়। দু’জন যুব তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। ঘটনায় দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
বাসন্তীর তৃণমূল নেতা আব্দুল মান্নান গাজি বলেন, “পরিকল্পনা করেই এ দিন তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা চলানো হয়েছে। সিপিএম, আরএসপি থেকে গুন্ডা বদমায়েশদের যুব তৃণমূলের নাম করে দলে ঢুকিয়ে দলীয় কর্মীদের উপর একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে।” এই ঘটনার পিছনে কোনও রাজনীতি নেই বলে দাবি করেছেন বাসন্তী ব্লকের যুব তৃণমূল নেতা আমানুল্লা লস্কর। তিনি আবার বলেন, “এটা নিছক পারিবারিক গন্ডগোল। এই ঘটনায় যুব তৃণমূল জড়িত নয়। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করুক।” দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দু’জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। এই ঘটনার পিছনে বিজেপির উস্কানি রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করুক।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব জেলার বিজেপি সভাপতি হরিকৃষ্ণ দত্ত অবশ্য বলেন, “নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দল ঢাকতে বিজেপিকে বদনাম করছে তৃণমূল। আসলে এখন সব কিছুতেই বিজেপির ভূত দেখছেন ওঁরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy