E-Paper

বৃষ্টিতে ফুল চাষে ক্ষতির আশঙ্কা

আনাজ চাষের পাশাপাশি ভাঙড়ের চিলেতলা, ভুমরু, পোলেরহাট, চাঁদামারি, কচুয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে গাঁদা ফুল চাষ হয়।

সামসুল হুদা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:৪২
বৃষ্টিতে জমিতে জল জমে যাওয়ায় নষ্ট হয়েছে গাঁদা ফুল।

বৃষ্টিতে জমিতে জল জমে যাওয়ায় নষ্ট হয়েছে গাঁদা ফুল। নিজস্ব চিত্র।

লক্ষ্মীপুজোর আগে বৃষ্টিতে খেতে ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব পড়েছে বাজারে। এমন চলতে থাকলে কালীপুজোতেও ফুলের দাম পাওয়া যাবে না বলে চাষিদের আশঙ্কা। ভাঙড়, বারুইপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় ফুল চাষের নিচু জমিতে জল জমে যাওয়ায় গাছের ক্ষতি হচ্ছে। বৃষ্টির জল ও ঝোড়ো হওয়ায় গাঁদা ফুলের পাপড়ি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং পচন শুরু হয়েছে।

আনাজ চাষের পাশাপাশি ভাঙড়ের চিলেতলা, ভুমরু, পোলেরহাট, চাঁদামারি, কচুয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে গাঁদা ফুল চাষ হয়। বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ খেতের গাঁদা ফুলের পাপড়ি পচে গিয়ে গাছ থেকে ফুল ঝরে পড়েছে। চাষিরা জানান, বিশ্বকর্মা পুজোর সময়ে এক কুড়ি মালা (এক বান্ডিলে ২০টি মালা থাকে) ৫০০-৫৫০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হয়েছে। ওই মালা আবার খুচরো বিক্রি হয়েছে প্রায় ৭৫০-৮০০ টাকায়। লক্ষ্মীপুজোর সময়ে সেই পরিমাণ গাঁদা ফুলের মালা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা। খুচরো বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা। সাধারণত, ৪০টি ফুল দিয়ে একটি মালা গাঁথা হয়। কুড়িটি মালা ওই দামে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ, একটি মালার দাম পড়ে যাচ্ছে ১২-১৫ টাকা।

ভাঙড়ের কচুয়া এলাকার ফুল চাষি প্রদীপ রায় বলেন, ‘‘এ বছর প্রায় ৭০ হাজার টাকা দিয়ে আড়াই বিঘা জমি লিজ নিয়ে গাঁদা ফুল চাষ করেছিলাম। শুধু ফুল চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা। ভেবেছিলাম দুর্গাপুজোর পরে লক্ষ্মীপুজো এবং কালীপুজোয় ফুলের ভাল বাজার পাব। কিন্তু বৃষ্টিতে সব মাটি করে দিল। যা পরিস্থিতি, খরচের টাকা উঠবে কিনা জানি না!’’ ভাঙড়ের ধাড়া এলাকার ফুল চাষি, শোভন মণ্ডল ও শেখর মণ্ডল বলেন, ‘‘যা বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে খেতে জল জমে যাওয়ায় গাঁদা ফুলে পচন ধরেছে। সব ফুল ঝরে যাচ্ছে। এ রকম চলতে থাকলে সব শেষ হয়ে যাবে।’’

জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বাহারুল ইসলাম বলেন, ‘‘দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় আনাজ চাষের তুলনায় সাধারণত ফুল চাষ কম হয়। অন্য চাষের ক্ষেত্রে যেমন বিমার সুবিধা রয়েছে, ফুল চাষের ক্ষেত্রে সেই সুবিধা নেই। তবে এটা ঠিক যে এ বছর পুজোর মরসুমে বৃষ্টি হওয়ায় ফুল চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করছি। বিষয়টি আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Heavy Rainfall Bhangar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy