Advertisement
E-Paper

ফের ছেলেধরা সন্দেহে গণধোলাই, ভবঘুরেকে মারধর পেট্রাপোলে, পাঁচ জনকে গ্রেফতার পুলিশের

উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোলে এক ভবঘুরে যুবককে গণধোলাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ছেলেধরা সন্দেহ করে ওই যুবককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪ ২০:১৬
পেট্রাপোলে ভবঘুরেকে ছেলেধরা সন্দেহে গণধোলাই।

পেট্রাপোলে ভবঘুরেকে ছেলেধরা সন্দেহে গণধোলাই। — নিজস্ব চিত্র।

উত্তর ২৪ পরগনায় আবার গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটল। এ বার শিরোনামে পেট্রাপোল। সেখানে ছেলেধরা সন্দেহে এক যুবককে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যুবক ভবঘুরে। ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পেট্রাপোল থানার পুলিশ। গণধোলাইয়ের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, পেট্রাপোল থানার নরহরিপুর হরিমন্দির এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এক যুবককে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছিল। বেলা একটু বাড়লে তাঁকে ছেলেধরা সন্দেহ করে জড়ো হন এলাকার মানুষ। ১২টা নাগাদ ওই যুবককে গণধোলাই দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সকলে মিলে তাঁকে ঘিরে ধরে মারতে শুরু করেন। তার মধ্যে মহিলারাও ছিলেন।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা যুবককে উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

পেট্রাপোলের ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শিল্প সঞ্চালক দীপক ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এক জন যুবক এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। ছেলেধরা সন্দেহ করে তাঁকে মারধর করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পৌঁছে গিয়েছিল। যুবককে ওরা উদ্ধার করেছে। ছেলেধরা নিয়ে এলাকায় একটা গুজব ছড়াচ্ছে। প্রশাসন এ বিষয়ে খুব সক্রিয়।’’

উল্লেখ্য, ছেলেধরা গুজবে গণধোলাইয়ের ঘটনায় গত কয়েক দিনে বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনা। কখনও বারাসত, কখনও খড়দহ, বনগাঁ, গাইঘাটা— পর পর গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে এর বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হচ্ছে। আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধ করছে প্রশাসন। কিন্তু তার পরেও গণধোলাই বন্ধ করা যাচ্ছে না। উত্তর ২৪ পরগনায় বার বার এই সমস্যা প্রশাসনকেও চিন্তায় রেখেছে।

North 24 Parganas Petrapole Beating
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy