Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
cyclone amphan

যাব আর আসব, বলেও ফিরে আসেনি ঘরের ছেলে

মিনাখাঁর উচিলদহে থাকতেন গোপাল ভুইয়াঁ। ঝড়ের সময়ে বাড়ির উঠোনের শৌচাগার যাচ্ছিলেন। উড়ে আসা বাড়ির চালের টিনের টুকরো গেঁথে যায় তাঁর কানের পাশে। ঝড় যখন থামে, ততক্ষণে গোপালের দেহে আর প্রাণ নেই।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২০ ০১:০২
Share: Save:

ঝড়ের দাপটে নৌকো যদি ভেসে যায়, যদি ডুবে যায়, এই চিন্তা পেয়ে বসেছিল গোপালকে। রুজি-রোজগারের একমাত্র সম্বল সেই নৌকো পাড়ে তুলে বেঁধে রেখেছিলেন। ঝড়ে নৌকো বেঁচে গেলেও প্রাণ গিয়েছে গোপালের।

মিনাখাঁর উচিলদহে থাকতেন গোপাল ভুইয়াঁ। ঝড়ের সময়ে বাড়ির উঠোনের শৌচাগার যাচ্ছিলেন। উড়ে আসা বাড়ির চালের টিনের টুকরো গেঁথে যায় তাঁর কানের পাশে। ঝড় যখন থামে, ততক্ষণে গোপালের দেহে আর প্রাণ নেই। প্রায় এক মাস পার হয়ে গিয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর জন্য আড়াই লক্ষ টাকা সরকারি ক্ষতিপূরণ পেয়ে গিয়েছেন বছর চব্বিশের কল্পনা ভুইয়াঁ। ছোট্ট মাটির বাড়ির দাওয়ায় বসেছিলেন। কোলে বছর তিনেকের ছেলে রবি। বাবা যে কেন ফিরছে না, তা এখনও বুঝতে পারছে না খুদে। ঘটনার পর থেকে বারবার বাবার কথা জিজ্ঞাসা করত। কল্পনা বলেন, “একটা ঝড়ে আমার সংসারটা তছনছ হয়ে গেল। এর থেকে যদি বাড়িটা উড়ে যেত, মানুষটা তো থাকত!” ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন কল্পনা।

বসিরহাট ২ ব্লকের মোমিনপুর গ্রামের বৃদ্ধ ভরত দাস স্ত্রীকে আগেই হারিয়েছিলেন। সহায় ছিল ছেলে মোহন্ত। আপাতত ছেলে হারিয়ে আড়াই লক্ষ টাকা পেয়েছেন বৃদ্ধ। সে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন। বললেন, “যাব আর আসব বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ছেলেটা। আর ফেরেনি।’’ পড়ে পড়সিরা জানান, রাস্তায় গাছ চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন ভরতের ছেলে মোহন্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cyclone Amphan Basirhat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE