তিন বছরের ভাইপোকে নিয়ে সন্ধেবেলায় গঙ্গার ধারে বসেছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের এক ব্যক্তি। আচমকা তিন দুষ্কৃতী এসে পিছন থেকে হামলা চালিয়ে, মাটিতে ফেলে তাঁর গলার নলি কেটে দিল। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবারের ওই ঘটনায় সন্দেহের তির সইফুদ্দিন নামে এক যুবকের দিকে।
ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই বজবজ থানার মৌখালির বাসিন্দা প্রহ্লাদ বিশ্বাস এ ভাবে খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে প্রহ্লাদের ভাইপোর গায়ে হাত দেয়নি দুষ্কৃতীরা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, কিছু দিন আগে মৌখালি এলাকায় শেখ মুস্তাকিন নামে এক দুষ্কৃতী খুন হয়। সে সময়ে মুস্তাকিনের সঙ্গে ছিল সইফুদ্দিন নামে আরও এক যুবক। মুস্তাকিনকেও প্রহ্লাদের মতোই গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছিল। সইফুদ্দিনের উপরও হামলা চালানো হয়েছিল। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, পরে সুস্থ হয়ে সইফুদ্দিন এলাকায় ফিরে আসে।
তদন্তকারীদের দাবি, মুস্তাকিন খুনের ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, প্রহ্লাদ বিশ্বাসও ওই খুনে জড়িত ছিলেন। তবে তাঁর জড়িত থাকার প্রমাণ ছিল না পুলিশের কাছে। পুলিশের অনুমান, এলাকায় ফেরার পর সইফুদ্দিন প্রহ্লাদকে খুনের ছক কষে।
প্রহ্লাদ বিশ্বাস খুনের পর থেকে সইফুদ্দিন ফেরার বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রহ্লাদের ভাইপোর বর্ণনা অনুযায়ী দুষ্কৃতীদের ছবি আঁকা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সইফুদ্দিনই মূল অভিযুক্ত বলে তদন্তে উঠে এসেছে, এমনই দাবি করছে পুলিশ।
ঘটনায় উঠে এসেছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তত্ত্বও। প্রহ্লাদকে দলীয় কর্মী বলে দাবি করছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিজেপি (পশ্চিম মণ্ডল) সভাপতি অভিজিৎ দাস। তিনি বলেন, ‘‘শাসক দলের দুষ্কৃতীরাই প্রহ্লাদের উপর হামলা চালিয়েছে।’’
যদিও এই ঘটনায় তাঁদের দলের কেউ জড়িত নন বলে দাবি করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা বজবজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি একটি মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy