নীরব: শপথ গ্রহণের সময়ে সাংসদ (বাঁ দিক থেকে চতুর্থ)। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে এসে সরকারি প্রকল্পেরই সমালোচনা করলেন সাংসদ তাপস মণ্ডল।
শনিবার ব্যারাকপুরে পাট ও পাটজাত তন্তু গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর ‘সংকল্প থেকে সাধন’ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা ছিল। সেই অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি করা হয়েছিল রানাঘাটের তৃণমূল সাংসদ তথা কৃষি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য, কৃষি বিজ্ঞানী তাপসবাবুকে।
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের তরফ থেকে এ দিনের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় প্রাণী গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান তাপসকুমার দত্ত, নাবার্ডের প্রধান একে রায় বর্মণ, পাট গবেষণা কেন্দ্রের অধিকর্তা জীবন মিত্রেরা সকলেই ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘সঙ্কল্প থেকে সাধন’ প্রকল্পের নানা দিক নিয়ে কথা বলেন। এলাকার অসংখ্য চাষি এ দিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
প্রকল্পের রীতি মেনে সকলে দাঁড়িয়ে ডান হাত বাড়িয়ে শপথ নেন, ২০২২ সালের মধ্যে চাষের আয় দ্বিগুণ বাড়াবেন।
বক্তারা মূলত হিন্দিতেই কথা বলেন। শপথ বাক্যও পাঠ করানো হয় হিন্দিতে। সব শেষে ছিল প্রধান অতিথির ভাষণ। তাপসবাবু বাংলায় বক্তৃতা শুরু করেন। শুরুতেই এই প্রকল্প ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে মন্তব্য করেন।
উদ্যোক্তা থেকে শ্রোতা— সকলেই হতবাক। তাপসবাবু বলে চলেন, ‘‘সকলে শপথ নিলেন ঠিকই, কিন্তু পাঁচ বছরে আয় দ্বিগুণ হবে না। সঙ্কল্পের নামে আসলে নাটকীয়তা হল।’’ শপথগ্রহণের সময়ে উঠে দাঁড়ালেও হাত মেলে ধরেননি সাংসদ। শপথবাক্য পাঠের সময়ে ছিলেন নীরব।
কেন সকলকে হিন্দিতে কথা বললেন, শপথ নিলেন, সেই প্রশ্নও তোলেন সাংসদ। উদ্যোক্তারা নিজেদের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করতে থাকেন। তাপসবাবুর অবশ্য সে দিকে নজর ছিল না। তিনি বলে চলেন, ‘‘পাট নিয়ে কোনও ভাবনাই নেই কেন্দ্রের। যতবার বলতে গিয়েছি, মতান্তর হয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে।’’
কৃষি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের সমন্বয় নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে এ দিন রাজনৈতিক বিষয়ও ছুঁয়ে গিয়েছেন সাংসদ। তাপসবাবু বলেন, ‘‘বেশির ভাগ ভারতবাসী এখনও দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পায় না। আর এখানে তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে কে গরু আর কে শুয়োর খাচ্ছে, তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে একদল লোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy