ওড়িশায় এক বাংলাদেশি নাবালিকাকে উদ্ধারের সূত্রে এ রাজ্যের দু’জায়গায় তল্লাশি চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর দু’জায়গায় স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে যায় এনআইএ। জয়ন্তীপুরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে যায় তদন্তকারী দল। একই সঙ্গে অভিযান চলে গাইঘাটার ডিঙামানিক এলাকায়। সূত্রের খবর, দু’জায়গার দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। বিকেলের দিয়ে তাঁদের আটক করে আনা হয় নিউ টাউনে এনআইএ-র অফিসে। তবে এ নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
সূত্রের খবর, গত বছর ওড়িশার মধুপাতনা থানার পুলিশ সতেরো বছরের এক বাংলাদেশি নাবালিকাকে উদ্ধার করেছিল। সেই সূত্রে পুলিশ ছ’জনকে গ্রেফতার করে। চলতি বছরের মার্চে তদন্তভার নেয় এনআইএ। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে, ওই নাবালিকাকে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে এ দেশে আনা হয়েছিল। তাতে সাহায্য করেছিল এ রাজ্যের বেশ কয়েক জন। সে সূত্রে এ দিন দু’জনের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই দু’জনের সাহায্য নিয়ে ওই নাবালিকাকে এ দেশে আনা হয়। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ওড়িশায়।
শনিবার ভোর ৪টে নাগাদ পেট্রাপোল থানার জয়ন্তীপুর মসজিদপাড়ার ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। বেলা ১২টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলে। পেট্রাপোল বন্দরে একটি মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র রয়েছে ওই ব্যবসায়ীর। সেখানেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। ভোরে গাইঘাটার ডিঙামানিক এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তির বাড়িতেও গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। ওই ব্যক্তির স্ত্রী বলেন, “স্বামীকে কেন এবং কারা নিয়ে গিয়েছে, জানি না। উনি অসুস্থ। এখন কোনও কাজকর্ম করেন না। আগে কাপড়ের ব্যবসা, চাষবাস করতেন।”
সীমান্তে বসবাসকারী বাসিন্দাদের অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশের গরিব পরিবারের মেয়েদের ‘ভাল কাজের’ টোপ দিয়ে এ দেশে আনা হয়। বেশির ভাগই চোরাপথে। এ কাজে দু’দেশে সক্রিয় রয়েছে পাচার চক্র। সেই মেয়েদের অনেককে পাচার করে দেওয়া হয় এ দেশের যৌনপল্লিতে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)