দ্রুত জনবসতি বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি। অথচ, ভাঙড়ে কোনও দমকল কেন্দ্র নেই। আগুন লাগলে ভরসা বানতলা বা নিউ টাউনের দমকল কেন্দ্র। দূরত্বের কারণে ছোটখাটো আগুন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড— সব ক্ষেত্রেই দমকলের পৌঁছতে সময় লাগে ঘণ্টাখানেক বা তারও বেশি। সমস্যার সমাধানে ঘটকপুকুর বাজার সংলগ্ন বাসন্তী রাজ্য সড়কের পাশে নতুন দমকল কেন্দ্র গড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা।
বানতলা ও নিউ টাউন থেকে ভাঙড় বা ঘটকপুকুর বাজারে দমকলের পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। চন্দনেশ্বর, বোদরা বা সুন্দিয়া বাজারের মতো এলাকায় যেতে লাগে দু’ঘণ্টার বেশি। কয়েক বছর আগে ঘটকপুকুর বাজারে আগুন লেগে এক দোকানি ও দুই কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছিল। তার পর থেকে দমকল কেন্দ্র গড়ার দাবি জোরদার হলেও তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
কয়েক মাস আগে ঘটকপুকুরের একটি খাবারের দোকানে আগুন লাগার ঘটনাও ফের সেই দাবি উস্কে দেয়। দমকল দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ১৭০টি দমকল কেন্দ্র রয়েছে। সংখ্যাটা ২০০-তে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে। সেই তালিকায় ভাঙড়ও থাকবে বলে মনে করছেন কর্তারা। তবে জমি বরাদ্দ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় প্রস্তাব কার্যকর কবে হবে, তা স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই ভাঙড়-১ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাছে জমি চেয়ে আবেদন করেছে প্রশাসন।
ভাঙড়-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঝর্না মণ্ডল বলেন, ‘‘এই অঞ্চলে বাজার ও বসতি দ্রুত বাড়ছে। দমকল কেন্দ্র থাকলে ঘটকপুকুর থেকে ঘুষিঘাটা, মিনাখাঁ, মালঞ্চ বা চৈতল পর্যন্ত সুবিধা পাওয়া যাবে। দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরের দিকের মানুষও উপকৃত হবেন। পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।’’
কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের এক কর্তা জানান, সাম্প্রতিক কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ভাঙড়ে দমকল কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট করেছে। এ জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে দমকল দফতরে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)