ব্য়ারাকপুরের আনন্দপুরী এলাকায় বুধবার সন্ধ্যায় ডাকাতির চেষ্টা হয়। নিজস্ব চিত্র।
ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে পর পর গুলি চলল। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। আরও দু’জন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ডাকাতিতে বাধা পেয়ে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
ব্যারাকপুর আনন্দপুরী সেন্ট্রাল রোড এলাকায় একটি সোনার দোকানে বুধবার সন্ধ্যায় অতর্কিতে হামলা চালায় এক দল ডাকাত। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন থেকে চার জন দুষ্কৃতী ওই ডাকাতের দলে ছিলেন। তাঁরা দোকান থেকে সোনার গয়না হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই কাজে বাধা পেয়ে গুলি চালান। গুলি লেগেছে তিন জনের গায়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দোকানের মালিকের পুত্র নীলাদ্রি সিংহের (৩৬/৩৭)। এক নিরাপত্তারক্ষীর পায়েও গুলি লেগেছে বলে খবর।
স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আহতদের। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় টিটাগড় থানার পুলিশ। তারা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। দুষ্কৃতীদের কাউকেই এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। ওই ফুটেজের মাধ্যমে তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে যেখানে এই কাণ্ড, সেই এলাকাটি যথেষ্ট জনবহুল। ভরসন্ধ্যায় সেখানেই কী ভাবে দুষ্কৃতীরা পিস্তল হাতে সোনার দোকানে ঢুকে পড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার খবর জানাজানি হতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান উত্তম দাস জানান, দোকানে ওই সময় চার জন ছিলেন। মালিক, মালিকের পুত্র এবং দুই কর্মচারী দোকানে থাকাকালীন পিস্তল হাতে দরজা ঠেলে ঢোকেন দুষ্কৃতীরা। যা আছে, বার করে দিতে বলা হয় তাঁদের। মালিকের পুত্র নীলাদ্রি সামনে এগিয়ে এসে বাধা দিলে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। পর পর কয়েক রাউন্ড গুলি চালান দুষ্কৃতীরা। মালিক এবং এক কর্মী জখম হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy