প্রতীকী চিত্র।
হই হই করে উঠেছিল কয়েকজন যুবক। দাদা, টাকার বান্ডিল পড়ে গিয়েছে আপনার— কথা শুনে ঘুরে তাকান মুকুল মণ্ডল। এক যুবক বলে, ‘‘কী যে করেন, সাবধানে চলতে পারেন না’’— এই বলতে বলতে নিজেই টাকার বান্ডিল হাতে তুলে দেয় মুকুলের। আর সঙ্গেই সঙ্গেই তাঁর হাত থেকে টাকার ব্যাগ কেড়ে নিয়ে ছুট লাগায় যুবকের দল। সম্বিত ফিরতে মুকুল দেখেন, যে টাকার বান্ডিল তাঁর হাতে ধরানো, তার উপরে নীচে দু’টি ২০ টাকার নোট রবার ব্যান্ড দিয়ে লাগানো। মাঝখানে কাগজের টুকরো!
বুধবার কেপমারির ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীতে। বাসন্তী বাজারে ব্যাঙ্ক থেকে ১ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন বলে জানিয়েছেন। মুকুল। তার পুরোটাই ছিনিয়ে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের অনুমান, মুকুল যে বড় অঙ্কের টাকা তুলবেন, তা আগে থেকে জানত দুষ্কৃতীরা। তাদের খোঁজ করছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গোসাবা থানার পাঠানখালি কামারপাড়ার বাসিন্দা মুকুল টাকা তুলে ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে হেঁটেই আসছিলেন। একটু ফাঁকা জায়গা দেখে যুবকেরা পিছন থেকে ডাক দেয়। তারপরেই ওই কাণ্ড। মুকুল বলেন, “আমার ছেলেরা তামিলনাড়ুতে কাজ করে। ওরাই টাকা পাঠিয়েছিল। সেই টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে আনার সময়ে এ ভাবে লুট হয়ে গেল।’’
এই ঘটনা প্রথম নয়, দিন কয়েক আগেও বাসন্তীর এক বাসিন্দা ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে বের হওয়ার সময়ে তাঁর কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বাসন্তীর বাসিন্দা ইক্তিকার রহমান মোল্লা, সুজয় মণ্ডলরা বলেন, “ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে এলে মানুষজন আতঙ্কে থাকেন। বার বার এই ধরনের কেপমারির ঘটনা ঘটছে। এই এলাকায় যাতে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়, সেই দাবি জানাচ্ছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy