E-Paper

গাড়ি রাখা নিয়ে বচসার জেরে পিটিয়ে খুন যুবককে

নবাবগঞ্জ বাজারপাড়া এলাকার বাসিন্দা দিলীপ ও তাঁর তিন সঙ্গীর সঙ্গে সৌভিক রায় ও তাঁর বোন পায়েলের বচসা বেধেছিল গাড়ি রাখা নিয়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৪৮
দিলীপ দাস।

দিলীপ দাস।

বাড়ির সামনে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল আবগারি দফতরের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার, ইছাপুরের কণ্ঠাধারে পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে। পুলিশ সূত্রের খবর, নিহতের নাম দিলীপ দাস (৩৯)।

নবাবগঞ্জ বাজারপাড়া এলাকার বাসিন্দা দিলীপ ও তাঁর তিন সঙ্গীর সঙ্গে সৌভিক রায় ও তাঁর বোন পায়েলের বচসা বেধেছিল গাড়ি রাখা নিয়ে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কেন দিলীপের বন্ধু শেখ বাবাই তাঁর গাড়িটি সৌভিকদের গেটের মুখে রেখেছেন, তা নিয়ে চিৎকার করছিলেন পায়েল। এ দিন শেখ বাবাই বন্ধুদের নিয়ে বাড়িটির উল্টো দিকের গুমটিতে কচুরি খেতে ঢুকেছিলেন। বাবাইয়ের কথায়, ‘‘গাড়ি রাখা নিয়ে চিৎকার করায় বলেওছিলাম, খেয়েই চলে যাব। তখনই সৌভিক বলে এক জন গাড়ির গায়ে ধারালো কিছু দিয়ে দাগ কেটে বনেটে চাপড় মেরে হেডলাইটের কাচ ভেঙে দেন। আমাদের মারতে শুরু করেন। দিলীপ বাধা দিতে গেলে এলোপাথাড়ি মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দেন। কানের নীচে ঘুষি মারতে থাকেন। তাতেই মৃত্যু হয় ওর।’’ সংজ্ঞাহীন দিলীপকে ব্যারাকপুরের বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ সৌভিক ও পায়েলকে ধরেছে। তাঁদের বাবাকেও আটক করা হয়েছে।

কচুরি বিক্রেতা, প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীদের বয়ান লিপিবদ্ধ করেছে পুলিশ। উত্তর ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান মলয় ঘোষ বলেন, ‘‘সৌভিক ও তাঁর পরিবার রগচটা বলে পরিচিত। প্রতিবেশীরা তিতিবিরক্ত।’’ রাতে দিলীপের দেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়েরা। তৈরি হয় যানজট। আটকে পড়েন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংহ। তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়।

পরিবার সূত্রের খবর, দিলীপ এক ঠিকাদারের অধীনে সাফাইকর্মী হিসাবে কাজ করতেন। তাঁর আয়েই সংসার চলত। দু’টি ছোট মেয়ে আছে দিলীপের। নোয়াপাড়া থানায় দাদাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন দিলীপের বোন সোমা। এ দিন ব্যারাকপুরের নগরপাল মুরলীধর শর্মা বলেন, ‘‘আপাতত দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতদেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

police investigation Murder Case

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy