Advertisement
E-Paper

লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই পারাপার

নদীতে জেটিঘাট তিনটি। কোনওটির স্ল্যাব ভাঙা। কোনওটিতে আবার নেই আলো। বর্ষাকালে ওই জেটি আরও বিপজ্জনক।

দিলীপ নস্কর

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:১৭
বেহাল: গুন্ডাকাটা ঘাট। —নিজস্ব চিত্র।

বেহাল: গুন্ডাকাটা ঘাট। —নিজস্ব চিত্র।

নদীতে জেটিঘাট তিনটি। কোনওটির স্ল্যাব ভাঙা। কোনওটিতে আবার নেই আলো। বর্ষাকালে ওই জেটি আরও বিপজ্জনক।

কাকদ্বীপের কালনাগিনী নদীতে ১৪ নম্বর গুন্ডাকাটা ঘাট, ১৫ নম্বর গুন্ডাকাটা ঘাট ও ঘুঘুডাঙা ঘাটে ওঠানামা করতে গিয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। তার মধ্যে লাইফ জ্যাকেটও দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

ঢোলাহাটের রামগোপালপুর পঞ্চায়েত ও রবীন্দ্র পঞ্চায়েতে রয়েছে ১৪ ও ১৫ নম্বর গুন্ডাকাটা ঘাট দু’টি। কাকদ্বীপের ঋষি বঙ্কিম পঞ্চায়েতে রয়েছে ঘুঘুডাঙা ঘাটটি। বহু বছর ধরেই ওই ঘাট দিয়ে যাত্রীরা ওঠানামা করেন। ভোর ৫টা থেকে পারাপার শুরু হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত চলে। যাত্রীরা জানান, জেটির অবস্থা এতটাই খারাপ, একটু এ দিক থেকে ও দিক হলেই পা পিছলে পড়তে হবে জলে।

শুধু তাই নয়, যে কোনও সময়ে জেটিঘাট ভেঙে বড় কোনও বিপদও ঘটতে পারে বলে যাত্রীদের আশঙ্কা। তবু প্রশাসনের পক্ষে তা সারাই করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

এ বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, ‘‘ওই তিনটি ঘাটের মধ্যে কোনও ঘাট ভেঙে পড়ছে বলে আমার জানা নেই। তবে ঘাটগুলিতে সোলার আলো, পানীয় জল, শৌচালয় ও বিশ্রামাগার করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।’’

নৌকোয় ওঠার সময়ে প্রত্যেককে লাইফ জ্যাকেট দেওয়ার কথা। যাত্রীরা জানান, শুধুমাত্র ঘুঘুডাঙা ঘাটে ১০টি লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়। আর বাকি দু’টি ঘাটে তেমন কোনও বন্দোবস্ত নেই। তবে ঘুঘুডাঙা ঘাটে বেশি যাত্রী হওয়ায় এখন আর কাউকেই জ্যাকেট দেওয়া হচ্ছে না বলে যাত্রীরা জানান।

ঘাটগুলিতে আলোর ব্যবস্থা নেই। সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ডুবে যায় ঘাট। এক যাত্রীর কথায়, ‘‘সন্ধ্যার পরে যাতায়াত করতে ভয় লাগে। কিন্তু উপায় নেই।’’ বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও ঝুঁকির।

কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে ওই তিনঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল করে। ঢোলাহাট এলাকার বাসিন্দারের নিত্য প্রয়োজনে ওই নদী পার হয়ে কাকদ্বীপ বাজার, অফিসে আসতে হয়। তা ছাড়াও কাকদ্বীপে রয়েছে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। ফলে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে নদী পারাপার হতে হয়।

ওই ঘাটের নৌকা পারাপারের দায়িত্বে রয়েছেন মহাদেব মাইতি। তাঁর অভিযোগ, যাত্রী পরিষেবা দিতে গিয়ে যাত্রীদেরই ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। সমস্ত বিষয়ে একাধিকবার কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতিকে জানানো হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর দাবি, সন্ধ্যার পর আলো না থাকায় অসুবিধা হয়। বয়স্ক মানুষের কোলে করে নৌকোয় তুলতে হয়।

Kakdwip LIfe jackets Boat কাকদ্বীপ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy