নরেন্দ্রপুর থানা এলাকা থেকে শনিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হয়েছিল এক ব্যক্তির দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুদীপ নাড়ু (৪০)। তিনি আদতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। তবে ওই ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মৃত সুদীপ এলাকায় তৃণমূলকর্মী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রোমোটিং, বালি-মাটির কারবারের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। বিরোধীদের অভিযোগ, অবৈধ ব্যবসায় টাকার ভাগাভাগি নিয়ে গোলমালের জেরেই তৃণমূলের এক পক্ষের হাতে খুন হতে হয়েছে সুদীপকে।
নরেন্দ্রপুরের বনহুগলি এলাকায় ওএনজিসি মোড়ের কাছে রাস্তার ধারে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এক জনের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দেহটি বিষ্ণুপুর থানা এলাকার বাকেশ্বর ষষ্ঠীতলা গ্রামের বাসিন্দা সুদীপের। পুলিশ জানায়,মৃতদেহের গলায় দাগ ছিল। গলায় কিছু পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। অন্যত্র খুন করে দেহ এনে ওই এলাকায় ফেলা হয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।
বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সুফল ঘাঁটুর দাবি, “টাকার বখরা নিয়ে গোলমালের জেরে এই খুন। ওই ব্যক্তি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী।সিন্ডিকেটের দখল নিয়ে তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর সঙ্গে গোলমাল চলছিল। এর আগেও মারপিট হয়েছে। তারাই খুন করেছে।” যদিও বিষ্ণুপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল বলেন, “সুদীপ আমাদেরই কর্মী ছিল। তবে এই ঘটনায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই। কিছু দিন আগে সোনারপুরের কিছু দুষ্কৃতী এই এলাকায় মাটি, নির্মাণ সামগ্রী ফেলা নিয়ে অনিয়ম করে। সুদীপ তার প্রতিবাদ করেছিল। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।”সুদীপের স্ত্রী নীলিমা নাড়ু বলেন, “স্বামী কল সেন্টারের গাড়ি চালাতেন। মাঝেমধ্যে প্রোমোটিং করতেন। কী ভাবে কী হল জানি না।” পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনেরমামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)