আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। এ বার ঘটনাস্থল কাশীপুর থানা এলাকা। শুক্রবার দুপুরে আচমকা তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। ওই সময় স্থানীয় মসজিদে কয়েক জন নমাজ পড়ছিলেন। অনেকে বাড়িতে ছিলেন। প্রচণ্ড শব্দে সবাই বাইরে বেরিয়ে আসেন। বিস্ফোরণের উৎসস্থল ছিল একটি গোয়ালঘর। তার একাংশ ভেঙে গিয়েছে বিস্ফোরণে। ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে। তাঁদের নাম নজিবর সর্দার এবং হাসান সর্দার। কী উদ্দেশ্যে, কেন এবং কারা ওই বোমাগুলি রেখে গিয়েছিল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে তরজা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কাশীপুর থানা এলাকার কচুয়া এলাকার বাসিন্দা নজিবর সর্দারের গোয়ালঘরে আচমকা বিস্ফোরণ হয়। ওই সময় নজিবরের বাড়িতে কেউ ছিলেন না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কাশীপুর থানার পুলিশ। তারা ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে। কথা বলা হয় এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। স্থানীয় সূত্রে খবর, যাঁর বাড়ির গোয়ালঘরে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই নজিবর আইএসএফের সমর্থক। এই ঘটনা প্রসঙ্গে দিলওয়ার হোসেন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘নমাজ পড়তে গিয়েছিলাম আমরা। আচমকা প্রচণ্ড আওয়াজ পাই। গিয়ে দেখা যায়, একটা বোমা ফেটেছে। একটি পরিত্যক্ত গোয়ালঘরে এই বিস্ফোরণ হয়েছে।’’ কারা এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে তা বলতে পারছেন না স্থানীয়েরা।
বস্তুত, পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই উত্তপ্ত কাশীপুর থানা এলাকা-সহ ভাঙড়। বিস্ফোরণ, গুলি চালনা, প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন পর্বেও সেই অশান্তি অব্যাহত। শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের অভিযোগ, শুধুমাত্র ভাঙড় নয়। রাজ্য জুড়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছেন নওশাদ (ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা)। এই সম্পর্কে বলতে গিয়ে বৃহস্পতিবারের ফুরফুরায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি ভাঙড়ের বিধায়কের গ্রেফতারির দাবি করেন। অন্য দিকে, এ নিয়ে নওশাদ বা আইএসএফের কোনও বিবৃতি মেলেনি। তবে স্থানীয় আইএসএফ নেতৃত্বের দাবি, বিস্ফোরণের ঘটনায় তাঁদের দলের কোনও হাত নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy