Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

অন্তঃসত্ত্বাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ, ধৃত স্বামী

প্রথমবার মা হতে চলেছিল কলেজ পড়ুয়া উনিশ বছরের মেয়েটি।কিন্তু বেঁকে বসে স্বামী। অভিযোগ, এক পল্লি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে জোর করে তাঁর গর্ভপাত করায় স্বামী করিমুল্লা মোল্লা। সঙ্গে ছিল তার তিন বন্ধু। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সঙ্গী এক যুবকের বাড়িতে। অভিযোগ, সেখানে গণধর্ষণ করা হয় তরুণীকে। মারা যান ক্যানিংয়ের জীবনতলার ওই তরুণী।

ধৃত: করিমুল্লা মোল্লা

ধৃত: করিমুল্লা মোল্লা

সামসুল হুদা
ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ০৩:৪৬
Share: Save:

প্রথমবার মা হতে চলেছিল কলেজ পড়ুয়া উনিশ বছরের মেয়েটি।

কিন্তু বেঁকে বসে স্বামী। অভিযোগ, এক পল্লি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে জোর করে তাঁর গর্ভপাত করায় স্বামী করিমুল্লা মোল্লা। সঙ্গে ছিল তার তিন বন্ধু। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সঙ্গী এক যুবকের বাড়িতে। অভিযোগ, সেখানে গণধর্ষণ করা হয় তরুণীকে। মারা যান ক্যানিংয়ের জীবনতলার ওই তরুণী।

মৃতদেহ নিয়ে স্ত্রীর বাড়িতেই পৌঁছেছিল করিমুল্লা। বাড়িতে জানায়, মোটর ভ্যান থেকে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছে মেয়েটি। তার আচরণে সন্দেহ হয় মেয়ের মায়ের। যুবককে মারধর করে পাড়া-পড়শিরা। মায়ের দাবি, জামাই স্বীকার করে, জোর করে গর্ভপাত করানো হয়েছিল মেয়েকে। তার পরে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে ধর্ষণ করা হয় তাকে।

মঙ্গলবার বছর কুড়ির করিমুল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ চলছে। বারুইপুর তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় করিমুল্লা জানায়, সোমবার সঙ্গীদের নিয়ে স্ত্রীর গর্ভপাত করাতে যায় সে। গর্ভপাতের পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান স্ত্রী। সেই দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত গণধর্ষণ, খুনের মামলা রুজু হয়েছে।

মেয়েটির বাবা মারা গিয়েছেন। তিন মেয়েকে নিয়ে পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান মা। বছরখানেক আগে করিমুল্লাকে বিয়ে করেন ওই তরুণী। করিমুল্লার বাড়ি মহেশতলায়। তার পরিবারের বিয়েতে মত ছিল না। স্বামীকে নিয়ে বেশির ভাগ সময় থাকত জীবনতলায় মায়ের কাছেই থাকতেন তরুণী। সেখান থেকেই এলাকার কলেজে যাতায়াত করতেন।

তাঁর মা বলেন, ‘‘সোমবারও কলেজে যায় মেয়ে। বিকেল গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় জামাইকে ফোন করি। সে বলে, মেয়েকে নিয়ে তিন বন্ধুর সঙ্গে বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়ায় গিয়েছে তারা। মেয়ের সঙ্গেও কথাও হয় সে সময়ে।’’ তবে রাতের দিকে জামাইয়ের ফোন বন্ধ ছিল বলে পুলিশকে জানান মেয়েটির মা। মঙ্গলবার সকালে করিমুল্লা নিজেই ফোন করে বলে, মোটর ভ্যানে বাড়ি ফেরার পথে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছে স্ত্রী। কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে তাকে।

পড়িমড়ি করে মেয়েকে দেখতে ছোটেন মা। কিছু ক্ষণ পরে আবার ফোন। জামাই এ বার বলে, স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে পথেই। দেহ নিয়ে জীবনতলার বাড়িতে যাচ্ছে সে। মেয়ের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে মায়ের মনে। জামাইয়ের কথাবার্তায় অসঙ্গতি ছিল বলেও তাঁর দাবি। মেয়ের আত্মীয়দের দাবি, চাপের মুখে ভেঙে পড়ে ওই তরুণ। তাকে পুলিশে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE