কাকদ্বীপ আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানস দাসকে মারধরের প্রতিবাদে শুক্রবার কর্মবিরতি পালন করলেন আইনজীবীরা। তার জেরে আদালত চত্বর এ দিন ছিল শুনশান। অনেক বিচারপ্রার্থী দূর দূর থেকে এসেও ফিরে যান। কর্মবিরতিতে সামিল হয় ডায়মন্ড হারবার বার অ্যাসোসিয়েশন।
ভোটের আগে গুলিতে খুন হন কাকদ্বীপের নেতাজি পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল নেতা আবুজার মোল্লা। এই ঘটনায় আগেই ধরা পড়েছে কয়েকজন। মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রেফতার হন কংগ্রেসের রফিকউদ্দিন মোল্লা। রফিকের হয়ে আইনজীবী দেওয়ায় অভিযোগ তুলে বুধবার রাতে কাকদ্বীপ বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানস দাসকে মারধর করে তৃণমূল। যদিও বার অ্যাসোসিয়েশন থেকে রফিকউদ্দিনের পক্ষে কোনও আইনজীবী দাঁড় করানো হয়নি। উনি নিজেই আইনজীবী ঠিক করেছেন। মারধরের প্রতিবাদে এ দিনের কর্মবিরতি। আইনজীবীদের একটি অংশের দাবি, কাকদ্বীপ বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে তৃণমূল সমর্থিত প্যানেল হেরে যাওয়ার পর থেকেই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত প্রতিনিধি-সহ কয়েকজন আইনজীবীকে নানা ভাবে তৃণমূলের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে। বুধবারের ঘটনা তারই বর্হিপ্রকাশ।
এ দিনের কর্মবিরতির জেরে ভোগান্তিতো পড়েন দূর দূর থেকে আসা বিচারপ্রার্থীরা। জমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে এ দিন আদালতে এসেছিলেন সাগর দ্বীপের বাসিন্দা অশ্বিনীকুমার জানা। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও কাজই তো হল না এ দিন। গাড়ি ভাড়াও খরচ হল।’’ তৃণমূল প্রভাবিত কাকদ্বীপ ল ক্লার্ক সমন্বয় কমিটি অবশ্য এ দিনের কর্মবিরতিতে যোগ দেয়নি। এই সংগঠনের নেতা প্রদীপ পাখিরার দাবি, ‘‘আগে গরমের সময় আইনজীবীরা তিন মাস কর্মবিরতি পালন করেছেন। তারপরে আরও এক দিন বিচারের জন্য ঘুরে গেল সাধারণ বিচারপ্রার্থীরা। এটা সমর্থনযোগ্য নয়।’’
কর্মবিরতির জেরে সাধারণ মানুষের হয়রানির প্রসঙ্গে কাকদ্বীপ বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবপ্রকাশ জানা বলেন, ‘‘একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি পেশাগত কারণে মার খেলে সেটা আমাদের সম্মানের প্রশ্ন। বিচারপ্রার্থীদের অসুবিধায় আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’’ রবিবার এই নিয়ে উভয় পক্ষকে আলোচনা ডেকেছেন কাকদ্বীপের বিধায়ক তথা মন্ত্রী মণ্টুরাম পাখিরা।