ফুলে-ফুলে: নিজস্ব চিত্র
প্রথমে গোলাপ, তার পর বিক্ষোভ।
মঙ্গলবার বিকেলে বসিরহাট মহকুমা জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের দাবি জানিয়ে এভাবেই বিক্ষোভ দেখালেন বসিরহাট পুর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির লোকজন। মিছিলে কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা না থাকলেও বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের (গ্রামীণ) সভাপতি অমিত মজুমদার, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর পারমিতা মজুমদার-সহ কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট পুরসভার ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭ নম্বর-সহ কয়েকটি ওয়ার্ডে পরিশুদ্ধ পানীয় জলের সররবাহ বেশ কম। চলতি বছরে গরমের শুরু থেকেই সেখানে শুরু হয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে অমিত মজুমদার বলেন, ‘‘পানীয় জলের অভাবে এলাকার মানুষ খুব কষ্টে রয়েছেন। সংশিষ্ট দফতরকে বার বার জানিয়েও সুরাহা হচ্ছে না।’’ বিক্ষোভকারীরা আরও দাবি করেন, বেশিরভাগ সময়েই কলে জল আসে না। যেটুকু আসে, সেটিও দুর্গন্ধযুক্ত।
জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মহকুমা সহকারি বাস্তুকার প্রবীর নস্কর বলেন, ‘‘সবাই যাতে পানীয় জল পেতে পারেন, তার জন্য দিনে এ বার সময় দিয়ে তিন বার করে পাম্প চালানো হবে। পুরপ্রধানের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেছি। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’’
বসিরহাট পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় পরিশুদ্ধ পানীয় জলের সমস্যা নতুন নয়। সেই সমস্যা মেটাতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে ‘আমরুত প্রকল্পে’র আওতায় বসিরহাট পরিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের জন্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা এসে গিয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যেই ওই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হবে। পুরপ্রধান তপন সরকার বলেন, ‘‘আমরুত প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হচ্ছে। তবে আপাতত কাজ চালানোর জন্য ৯ নম্বর ওযার্ডে একটি গভীর নলকুপ তৈরির কাজ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy