মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পরেও কি এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে, উঠছে প্রশ্ন। —ফাইল চিত্র
সাগরে এসে ফের মুড়িগঙ্গা নদীতে সেতু তৈরির প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাজ্যের উদ্যোগে কাজ এগোনোর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেতু হয়ে গেলে সুন্দরবনের জন্য একটা ‘বড় কাজ’ হয়ে যাবে বলে দাবি করেন মমতা।
এর আগেও একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বলে কংক্রিটের সেতু বানানোর প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। কেন্দ্রের টাকা না মিললে নিজেদের উদ্যোগে লোহার সেতু বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু বছর ঘুরলেও সেতু মেলা তো দূর, কার্যত কোনও কাজই হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের প্রতিশ্রুতিও আদৌ পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে এই পরিস্থিতিতে সংশয়ে আছেন এলাকার অনেকেই। সাগরের বাসিন্দা পবিত্র জানা বলেন, ‘‘আমরা আসলে প্রতিশ্রুতিই পাচ্ছি। আর বিশেষ কিছুই হচ্ছে না। এই প্রতিশ্রুতি আর কত দিন?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের থেকে ভাল হলেও সেতু দরকার। সেতু হলে ভেসেলের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে।’’ সাগরদ্বীপে প্রায় দু’লক্ষ মানুষের বাস। গঙ্গাসাগর মেলা ছাড়াও সারা বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা আসেন। কিন্তু যাতায়াতের বড় সমস্যা মুড়িগঙ্গা নদী। সেতু হলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন স্থানীয় বাসিন্দা, ভিন্ রাজ্যের পুণ্যার্থীরাও। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ থেকে সাগর পর্যন্ত মুড়িগঙ্গা নদীর উপরে চার লেনের সেতু তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। যার আনুমানিক বাজেট ১০ হাজার কোটি টাকা। চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর মধ্যে নদীর উপরের অংশ আড়াই কিলোমিটার। পার্শ্ববর্তী রাস্তা তৈরি হবে আরও দু’কিলোমিটার। জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার রেলের একটি সংস্থাকে ‘ডিপিআর’ তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে। সেই কাজ অনেকটা এগিয়েছে। এ দিন সে কথাই জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এটা একটা বিরাট কাজ। বিরাট যজ্ঞ করতে গেলে তার সমস্ত মালপত্র জোগাড় করতে হয়। তার পরিকল্পনা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy