ক্ষোভ: পরিষেবা চান ওঁরা। নিজস্ব চিত্র
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য দু’বছর আগে নতুন ভবন তৈরি হয়েছে। নতুন ভবনে স্বাস্থ্য পরিষেবা চালুর জন্য ১০টি শয্যা ও সরঞ্জাম আনা হয়েছে। কিন্ত এখনও পর্যন্ত শয্যা চালু না করায় এলাকার বাসিন্দারা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বুধবার দুপুরে্ রায়দিঘির মথুরাপুর ২ ব্লকের রাধাকান্তপুর পঞ্চায়েতে গিলারছাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শয্যা চালু-সহ একাধিক দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। রায়দিঘি-দক্ষিণ বিষ্ণুপুর রোড়ে বিডিও অফিস মোড়ে দুপুর দু’টো থেকে ঘণ্টা দু’য়েক বিক্ষোভ দেখান। প্রশাসনের আশ্বাসে অবস্থান ওঠে।
স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েতের গিলারছাট গ্রামে ১৯৬২ সালে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু হয়েছিল। শুরুতে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভাল হলেও পরে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকের অভাবে পরিষেবা ব্যাহত হয়। বর্তমানে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রয়েছেন দু’জন চিকিৎসক, একজন নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী একজন। নতুন ভবনে শয্যাও চালু হয়নি। পড়ে পড়ে তা নষ্ট হচ্ছে।
অথচ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা চালু হলে রাধাকান্তপুর পঞ্চায়েত ছাড়াও পরিষেবা পাবেন নালুয়া, খাড়ি, নলগোড়া ও মণিরতট পঞ্চায়েতের বাসিন্দারাও।
এ দিন আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন ওই এলাকার বাসিন্দা, ‘দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য বাঁচাও কমিটি’র সদস্য গোপাল খামারু। তাঁর দাবি ২০১৭ সালে ২ জুলাই পৈলানের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হাসপাতালের শয্যা চালুর বিষয়ে জানিয়েছিলেন। কিন্ত তারপরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা পেলে ২০-৩০ কিলোমিটার দূরে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে যেতে হবে না।
তিনি জানান, এ দিন অবরোধের পরে মথুরাপুর ২ বিডিও অফিস থেকে তাঁদের ডাকা হয়েছিল। সেখানে দাবি শোনার পরে জানানো হয়েছে, এক মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ প্রণবেশ হালদার বলেন, ‘‘ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবার সমস্যা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy