পাথর বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক শিশুর। জখম হয়েছেন আরও দু’জন। মঙ্গলবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হাবরার গোপাল কবিরাজ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, শ্রাবণী দে (৮) নামে ওই শিশুর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। তাঁর মা ও ছ’বছরের বোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনার পরেই উত্তেজিত জনতা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। মারধর করা হয় ট্রাকের খালাসিকে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই রাস্তা দিয়ে বোপরোয়া ভাবে পাথর বোঝাই ট্রাক যাতায়াত করে। যা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ঘণ্টা খানেক ওই অবরোধ চলে। পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা শান্ত হন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রাবণীদের বাড়ি বুধোরহাটি গ্রামে। তার মা গৌরীদেবী দুই মেয়েকে গৃহশিক্ষকের বাড়ি থেকে সাইকেল করে নিয়ে আসছিলেন। ওই মোড়ের কাছে উল্টোদিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাইকেলে ধাক্কা মারে। তিনজনই ছিটকে পড়েন কয়েক হাত দূরে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শ্রাবণীর। উত্তেজিত জনতা চালককে ধরতে না পারলেও খালাসিকে ধরে ফেলেন। শুরু হয় মারধর। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ ট্রাকটি আটক করেছে। জখম দু’জনকে প্রথমে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে চিকিৎসকেরা তাদের কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ট্রাকের জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বিপদের আশঙ্কা নিয়েই পথ চলতে হয়। তাঁদের দাবি, সড়কে স্পিড ব্রেকার বসাতে হবে। দিনে ও রাতে নির্দিষ্ট সময় ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। ঘটনাস্থলে যান পুরপ্রধান নীলিমেশ দাস। জনতা তাঁকে ঘিরে ক্ষোভ দেখান। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘এই সড়কে ট্রাকগুলি সত্যিই বেপরোয়া ভাবে যাতায়াত করে। পুরসভার পক্ষ থেকে ওই সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে গার্ডরেল বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।’’
পুলিশ ও পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাত ৯টা পর্যন্ত ওই সড়কে মানুষের ভিড় থাকে। দিন ও রাতের ব্যস্ততম সময়ে ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy