ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। — ফাইল চিত্র।
কিছু ক্ষেত্রে বিরোধীরা সাফল্য পেলেও মোটের উপরে এ বারও ভাঙড় ২ ব্লকে ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতেই ক্ষমতা ধরে রেখেছে তৃণমূল। এ বার বোর্ড গঠনের পালা। এ নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় ভাঙড়ের হাতিশালায় এক কর্মী-বৈঠকে দলের বেইমানদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকাত মোল্লা।
সওকাত বলেন, ‘‘আমরা শত্রুর বিরুদ্ধে রক্তের বিনিময়ে জীবন-মরণের লড়াই করেছি। অথচ, দলের কিছু কাপুরুষ চেষ্টা করেছে, ওকে ভোট দিলে আমার এই সমস্যা হবে, ও জিতে গেলে প্রধান হয়ে যাবে। কিছু বেইমান, বিশ্বাসঘাতক দলে আছে। তোমরা কী করেছ, কার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছ, সব খবর আমাদের কাছে আছে। সব রেকর্ডিং আছে। প্রয়োজনে দেখিয়ে দেব।’’ উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সওকাতের নির্দেশ, ‘‘দলের বেইমানগুলোকে চিহ্নিত করুন। তাদের দল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করার দায়িত্ব তৃণমূলকে নিতে হবে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রমাণ করে দিতে হবে ভাঙড় তৃণমূলের।’’
ভাঙড় ২ ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে এ বার একটিতে জিতে গিয়েছে জমি কমিটি। পঞ্চায়েত সমিতির ৩০টি আসনের মধ্যে বিরোধীদের দখলে গিয়েছে ৮টি। জেলা পরিষদের তিনটি আসনের একটি গিয়েছে আইএসএফের দখলে। বাকি সবই তৃণমূলের। তারপরেও কেন এ দিন দলের ‘গদ্দার’দের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিলেন সওকাত?
দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ মনে করছেন, গণনার রাতে কাঁঠালিয়া হাই স্কুলের গণনাকেন্দ্রে যে গোলমাল হয়েছিল, তাতে আইএসএফের কাছে পিছু হটতে হয়েছিল তৃণমূলের। এর পিছনে দলের একাংশের মদত রয়েছে বলে মনে করছেন সওকাত। এ নিয়ে প্রশ্নে সওকাত বলেন, ‘‘ভাঙড়ে যত গন্ডগোল হয়েছে, তার মূলে ছিল আইএসএফ। আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে এমন সন্ত্রাস দেখিনি। দলের কিছু লোক ওদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।’’
এ নিয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওসাদের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওদের লোকের সহযোগিতা নিয়ে আমাদের ভোটে জেতার প্রয়োজন নেই। ওঁদের দলে কে কোন পদ পাবেন তা নিয়ে একাধিক গোষ্ঠীর লড়াই রয়েছে। এটা তাদের ব্যাপার। যে ক’টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি, সেখানে মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy