E-Paper

সন্তান স্কুলে ঢুকলেই জানবেন অভিভাবকেরা

দিন কয়েক আগে গাইঘাটার চাঁদপাড়া বাণী বিদ্যাবীথি স্কুলে পড়ুয়াদের জন্য চালু হয়েছে কিউআর কোড হাজিরা ব্যবস্থা। স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৪২
বারকোড স্ক্যানিং করে হাজিরা।

বারকোড স্ক্যানিং করে হাজিরা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক ।

বনগাঁ শহর থেকে দশ কিলোমিটার দূরের স্কুলে যায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। অভিভাবকেরা তাকে বাসে তুলে দেন। চাঁদপাড়া বাজারে নেমে হেঁটে স্কুলে ঢোকে মেয়েটি। স্কুলে মোবাইল নিয়ে যাওয়া নিষেধ। তাই মেয়ে ঠিক মতো পৌঁছল কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় থাকেন বাড়ির লোকেরা। সমস্যা মিটিয়েছে প্রযুক্তি। এখন পরিচয়পত্র স্ক্যান করে মেয়েটি স্কুলে ঢুকলেই মেসেজ সরাসরি চলে যাচ্ছে অভিভাবকদের মোবাইলে!

দিন কয়েক আগে গাইঘাটার চাঁদপাড়া বাণী বিদ্যাবীথি স্কুলে পড়ুয়াদের জন্য চালু হয়েছে কিউআর কোড হাজিরা ব্যবস্থা। স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। সকলকে স্কুল থেকে দেওয়া হয়েছে সচিত্র পরিচয়পত্র। স্কুলে ঢোকার সময়ে নিজের পরিচয়পত্রে থাকা কোড স্ক্যান করলেই অভিভাবকদের কাছে মেসেজে চলে যাচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, হাজিরার এই নতুন পদ্ধতিতে পড়ুয়াদের সময় মতো স্কুলে আসার প্রবণতা বেড়েছে, যা সার্বিক শৃঙ্খলার জন্য ইতিবাচক। নিশ্চিন্ত অভিভাবকেরাও।

এক ছাত্রীর অভিভাবক বললেন, ‘‘আগে কখনও সিভিক ভলান্টিয়ার কখনও বা অন্য পড়ুয়ার অভিভাবকদের ফোন থেকে বাড়িতে ফোন করে দিত মেয়ে। তবে সেটা রোজ সম্ভব হত না। চিন্তায় থাকতাম।’’ স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘‘অভিভাবক মহলেও স্কুলের এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসিত হচ্ছে। অভিভাবকদের মাসের শেষে দেওয়া হচ্ছে উপস্থিতির খতিয়ান। সেই হার কম থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

স্কুল সূত্রে জানানো হয়েছে, একই সঙ্গে চালু হয়েছে ই-ডায়েরি অ্যাপের ব্যবহার। এর মাধ্যমে কেবল হাজিরা নয়, স্কুলে কী কী হচ্ছে সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই অভিভাবকেরা পাচ্ছেন। ছাত্রছাত্রীদের প্রতি মাসের হাজিরা, প্রত্যেকটি বিষয়ের প্রতিটি পিরিয়ডে ক্লাসওয়ার্ক এবং হোমওয়ার্ক, স্কুলের রুটিন, স্কুলের বিভিন্ন নোটিস— সবই অভিভাবকেরা পাচ্ছেন ফোনে।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, অ্যাপের মাধ্যমে ক্লাসটিচার ও অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাবে। কোনও অভিযোগ, পরামর্শ, সন্তানের পরীক্ষার ফল সহ যে কোনও তথ্য জানতে বা জানাতে পারবেন অভিভাবকেরা। এতে পড়ুয়া,
শিক্ষক ও অভিভাবকদের বন্ধন অনেকটা দৃঢ় হবে বলে মনে করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Gaighata

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy