নিখোঁজ অসীমের (ইনসেটে) মঙ্গলকামনায় দেওয়ালে ফোঁটা দিচ্ছেন দিদি পম্পা। বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র
ভাইফোঁটা কয়েকদিন আগে থেকে মন ভারী পম্পার। বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটার সকালে কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্বামী উৎপল কোনও মতে সামাল দেন। পম্পা দত্তের ভাই অসীম কর কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ। ঠাকুরঘরের দেওয়ালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে এদিন ভাইয়ের মঙ্গলকামনা করেছেন পম্পা। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে তাঁর অনুরোধ, অসীমকে খুঁজে দিন।
হাবড়ার বাণীপুরের শ্যামসাহার মোড় এলাকার বাসিন্দা বছর সাঁইত্রিশের অসীম নিজের জামাইবাবু উৎপলের লটারির দোকানে কাজ করতেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২২ মার্চ সকাল থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়িতে কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অসীম। ফোনও বন্ধ।
থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়। পম্পা বলেন, ‘‘ভাইয়ের খোঁজে থানা-পুলিশ, জনপ্রতিনিধি সহ সমস্ত জায়গায় গিয়েছি। বিষয়টি এখন সিআইডি দেখছে।’’
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কোথাও কোনও অজ্ঞাতপরিচয়ের দেহ উদ্ধার হলেই তাঁরা থানা, হাসপাতালের মর্গে যান। দেখে আসেন। পম্পা বলেন, ‘‘আমার নার্ভের রোগ আছে। বাবা-মা ভাইয়ের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’’
অসীম অবিবাহিত। কয়েক বছর আগে তাঁরা থাকতেন বারাসতের সুকান্তনগর এলাকায়। দিদি পম্পার বিয়ে হয় হাবড়ার ইতনা কলোনি এলাকায়। পরবর্তী সময়ে অসীমেরা বারাসত ছেড়ে হাবড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকা শুরু করেন। পরে জমিবাড়ি কেনেন। অসীমের বাবা অজিত, মা মলিনারা ছেলের চিন্তায় অস্থির। মলিনা বলেন, ‘‘এতদিন হয়ে গেল ছেলেকে খুঁজে দিতে পারল না পুলিশ-প্রশাসন।’’
ভাইফোঁটার সকালে পম্পা বলেন, ‘‘প্রতি বছর এই দিনে ভাইকে ফোঁটা দিতাম। ওর মঙ্গলকামনা করতাম। আজ পুলিশ-প্রশাসনের কাছে বলছি, একটু তোড়জোড় করুন। ভাইকে ফিরিয়ে দিন।’’
পুলিশ জানিয়েছে, সব রকম পদক্ষেপ করা হয়েছে। সিআইডি ও পুলিশ অসীমকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। পুলিশের অনুমান, যুবক নিজেই কোথাও চলে গিয়ে থাকতে পারেন। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy