নদী থেকে অবৈধ ভাবে তুলে নেওয়া হচ্ছে সাদা বালি। বেআইনি ভাবে সেই বালি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। নিয়ম ভেঙে নদীর চর ও পাড় থেকে বালি তুলে নেওয়ার ফলে বাঁধের মাটি আলগা হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা করছেন এলাকার মানুষ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েক মাস ধরে হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি, লেবুখালি, হাসনাবাদ, লঞ্চঘাট, কাটাখালি এলাকায় নদীর চর এবং পাড় থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা চলছে। বালি তুলে বড় বড় নৌকা ভর্তি করে হাসনাবাদ ও হিঙ্গলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে গিয়ে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।কী ভাবে তোলা হচ্ছে বালি? বাসিন্দারা জানান, প্রথমে নদীর কাছেই চৌকো জলাশয়ের মত জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। সূক্ষ জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে সেই জলাশয়। তারপর নদীর বাঁধ কেটে বসানো হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প। সেই পাম্পের সাহায্যে নদী থেকে বালি মিশ্রিত জল এলে ফেলা হচ্ছে ওই জালের উপর। পরে জল ঝরে জলাশয়ে চলে যাচ্ছে। জালের উপর পড়ে থাকছে বালি। তারপর সেই বালি নৌকায় করে নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত মণ্ডল, আয়ুব গাজিরা বলেন, “যে ভাবে সেতুর তলা থেকে, বাঁধের পাশ থেকে বালি তোলা হচ্ছে, তাতে খুবই আতঙ্কে আছি। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা কটালে জল বাড়লেই এলাকা প্লাবিত হতে পারে।” অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা মোটা টাকা খরচ করে অবৈধ ভাবে নদী থেকে বালি তুলছে। অথচ প্রশাসন নীরব। প্রতিবাদ করলে অসাধু ব্যবসায়ীরা হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। দেওয়া হচ্ছে।
হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিচ্ছি। সত্যি যদি এই রকম ব্যবসা চলতে থাকে, তা হলে পুলিশের কাছে অনুরোধ করব অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে।” হাসনাবাদের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক হিমাংশু বর্মন বলেন, “এরকম হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)