বাঁ দিকে, হাসপাতালে পরীক্ষা দিচ্ছে বন্যা। ডান দিকে, বাবার কাঁধে চড়ে পরীক্ষা দিতে এল চিরঞ্জিত। ছবি: শান্তশ্রী মজুমদার।
প্রতিবন্ধকতা হোক কিংবা অসুস্থতা— কোনওটাই ওদের চলার পথে বাধা হয়নি। কাকদ্বীপ বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের ছাত্র সাত্ত্বিক মাইতি সেরিব্রাল পলসি রোগে আক্রান্ত। তার মা সরযূবালাদেবী জানান, ছোটবেলাতেই রোগ ধরা পড়েছিল। তবে পড়াশোনায় বাধা হয়নি। এ বার ছেলেটি মাধ্যমিক দিচ্ছে। পরীক্ষাকেন্দ্র, কাকদ্বীপ শিশুশিক্ষায়তন। বাবা-মায়ের সঙ্গে পরীক্ষা দিতে আসে সাত্ত্বিক। মা জানান, রাইটার নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে ছেলে।
গঙ্গাসাগরের শ্রীধাম কপিলানন্দ বিদ্যাভবনের ছাত্র চিরঞ্জিত করণ জটিল স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত। কোমরের নীচ থেকে শরীরের বাকি অংশে সাড় নেই। বাবার পিঠে করে স্কুলে যাতায়াত করে। তার পরীক্ষাকেন্দ্র, খানসাহেব আবাদ হাইস্কুল। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়দেব দাস বলেন, ‘‘ছেলেটিকে বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে।’’
কাকদ্বীপের গোবিন্দরামপুর অশ্বিনীকুমার হাইস্কুলে পরীক্ষা দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে রবীন্দ্র পঞ্চায়েতের মন্মথপুর শিক্ষাভবনের ছাত্রী বন্যা সর্দার। কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে কিছুটা সুস্থ হয়ে ওই ছাত্রী জানায়, সে পরীক্ষা দেবে। তার অসমাপ্ত উত্তরপত্র হাসপাতালে এনে দেন অশ্বিনীকুমার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবপ্রসাদ মজুমদার। সেখানেই পরীক্ষা দেয় সে।
বসিরহাটের সাঁইপালার বাসিন্দা স্থানীয় এইচএমডি স্কুলের ছাত্রী মেঘা দাস এ দিন বসিরহাট জেলা হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা দেয়। দিন কয়েক ধরেই সে অসুস্থ হয়ে সেখানে ভর্তি। পাথরপ্রতিমার গদামথুরা এবং কাকদ্বীপে দু’জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বসন্ত রোগে আক্রান্ত অবস্থায় পরীক্ষা দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy