উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থেকে গ্রেফতার হলেন এক সন্দেহভাজন বাংলাদেশি। শনিবার বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ধরা পড়েন নাজমুল সর্দার ওরফে নাজমুল গাজি নামে ওই ব্যক্তি।
সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের এক তরুণীর সঙ্গেই ওই যুবকের বিয়ে হয়েছিল। শ্বশুরবাড়ি স্বরূপনগর থানার বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিথারী গ্রামে। বিয়ের পর দীর্ঘ সময় শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন তিনি। কখনও কখনও আবার চলে যেতেন বাংলাদেশে। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ধৃত যুবক বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সেখানে তাঁর পরিচয় ছিল নাজমুল গাড়ি। পশ্চিমবঙ্গে এসে নাজমুল সর্দার পরিচয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি। মাঝেমধ্যেই তিনি ভারত এবং বাংলাদেশে যাতায়াত করতেন।
গোপন সূত্রে এ বিষয়ে খবর যায় বসিরহাট পুলিশ জেলার আধিকারিকদের কাছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর কাছেও এ বিষয়ে খবর যায়। ওই সূত্রের ভিত্তিতে শনিবার বসিরহাট পুলিশ এবং বিএসএফ যৌথ ভাবে অভিযান চালায় সীমান্তবর্তী এলাকায়। সূত্রের খবর, তখন সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় নাজমুলকে। এর পরে তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ এবং বিএসএফ আধিকারিকেরা জেরা শুরু করেন। শেষে শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে রবিবার বসিরহাট আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানাতে পারে পুলিশ। মূলত নাজমুলের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, কেউ তাঁকে অনুপ্রবেশে সাহায্য করেছেন কি না, এই সংক্রান্ত বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, ধৃত ব্যক্তি বাংলাদেশ পুলিশের একজন পদস্থ কর্মী। যদিও এ বিষয়ে বসিরহাট পুলিশ জেলার তরফে এখনই কিছু জানানো হয়নি। ঘটনাটি নিয়ে বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাঁর পরিচয় নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তদন্ত চলছে।’’