দুর্ঘটনা এড়াতে এ বার বনগাঁ-চাকদহ সড়কে বসানো হচ্ছে ‘স্প্রিং পোস্ট।’
বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতেই এই উদ্যোগ করা হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। পুলিশ জানায়, গোপালনগর থানা এলাকায় এখনও পর্যন্ত ২০০টি স্প্রিং পোস্ট বসানো হয়েছে। আশা করা যায়, এ বার গাড়ির বেপরোয়া চলাচল বন্ধ করা যাবে। দুর্ঘটনাও কমবে।
স্প্রিং পোস্ট মূলত ডিভাইডারের কাজ করে। এর ফলে গাড়ির মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনা কমবে বলে আশা। ওই স্প্রিং পোস্টে গাড়ি ধাক্কা মারলেও তার ক্ষতি হবে না।
এলাকার মানুষের কাছে সড়কটি ‘মৃত্যুফাঁদ’ হিসাবে পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চলাচল, সড়কের দু’পাশ জুড়ে পণ্যবাহী ট্রাক বেআইনি ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এবং সড়কের উপর ইমারতি মালপত্র ফেলে রাখা— এ সবই দুর্ঘটনার কারণ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের ঋণের টাকায় সড়কটি নতুন করে তৈরি করা হয়। চওড়া ও ঝাঁ চকচকে সড়ক পেয়ে এলাকার মানুষ খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু সড়ক দখল করে বেআইনি পার্কিংয়ের ফলে রাস্তা ফের সরু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি পুলিশের পক্ষ থেকে সড়কের একপাশে ট্রাক দাঁড় করানোর জন্য অভিযান শুরু হয়েছে। বেশ কিছু ট্রাক আটক করে গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে। ইমারতি মালপত্র সরাতেও অভিযান চালানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ওই সড়কে পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন পাঁচজন। জখমের সংখ্যার কোনও হিসাব নেই। ওই সড়কে গিয়ে দেখা গেল, বিক্ষিপ্ত ভাবে হলেও এখন সড়কের দু’পাশে ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। দুই একটি এলাকায় ইমারতি মালপত্রও পড়ে থাকতে দেখা গেল।
বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় বলেন, ‘‘বেআইনি পার্কিং এবং ইমারতি মালপত্রের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কোথাও যাতে সড়কের দু’পাশে ট্রাক দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য পুলিশ নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে।’’