পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকেই বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতের নির্দেশখালি বাজার দখল করা নিয়ে তৃণমূল এবং যুব তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সকাল থেকে বোমাবাজি, গুলির লড়াই শুরু হয়।
খবর পেয়ে বাসন্তী থানার ওসি অর্ধেন্দুশেখর দে সরকার ও সিআই ক্যানিং রতন চক্রবর্তী পুলিশবাহিনী নিয়ে গ্রামে যান। কিন্তু সেখানে ঢুকতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি-বোমা চালানো হয়। পুলিশের গাড়ি যাতে এলাকায় ঢুকতে না পারে, সে জন্য রাস্তায় বোমা ফেলে রাখা হয়। তৃণমূলের ছোড়া বোমায় গুরুতর জখম হন বাসন্তী থানার এসআই সুব্রত উপাধ্যায়-সহ তিন পুলিশ কর্মী। তৃণমূলের ছোড়া ইটে সুব্রতবাবুর মাথা ফাটে। ওসি অর্ধেন্দুবাবুর পায়ে লাগে। প্রায় আধ ঘণ্টা পুলিশ এলাকায় ঢুকতেই পারেনি।
পরে অবশ্য পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে উভয়পক্ষকে হঠিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে যান এডিজি (সাউথ বেঙ্গল) সঞ্জয় সিংহ, ডিআইজি (পিআর) ভরতলাল মিনা, এসএসপি সুনীল চৌধুরী ও বারুইপুর পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ।
পুলিশ জানিয়েছে, নির্দেশখালি বাজার দখল করতে বাসন্তী ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মন্টু গাজির অনুগামীরা শনিবার বাজারে আক্রমণ চালায়। মারধর করা হয় যুব তৃণমূল কর্মীদেরও। প্রথমে পিছু হঠেন যুবকর্মীরা। পরে শুরু হয় দু’পক্ষের সংঘর্ষ।
ব্লক যুব সভাপতি আমান লস্কর বলেন, ‘‘ওদের অত্যাচারে মানুষ ওদের পাশ থেকে সরে এসেছে। পায়ের তলার মাটি হারাচ্ছে। সে জন্যই এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষকে ভয় দেখিয়ে এলাকা দখল করতে চাইছে ওরা।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে মন্টু বলেন, ‘‘নির্দেশখালিতে এক সময়ে যাঁরা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের ভয় দেখিয়ে ওদের পক্ষে টেনে নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় এখন আমাদের কোনও সংগঠনই নেই।’’ দলে আরএসপি ও সিপিএম থেকে অনেকেই যোগ দিয়েছেন। তাঁরাই এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে গণ্ডগোল বাধাচ্ছে বলে তাঁর দাবি।
যুব তৃণমূল এবং তৃণমূলের ব্লক কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন দলের জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায়।