নিজস্ব চিত্র।
স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। সোমবার ভাঙড়-২ ব্লকের চিলাতলা গ্রামে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পের আয়োজন করে ব্লক প্রশাসন। সেই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন ভোগালি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মোদাসের হোসেন। তিনি বলেন “যাঁরা স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিচ্ছেন তাঁদের সকলকেই আমাদের দলের ছত্রছায়ায় থাকতে হবে। আমাদের দলকে ভোট দিতে হবে। অন্যের ছাতার তলায় গেলে তাঁদের কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হবে।”
মোদাসের যখন মঞ্চ থেকে সরকারের সামাজিক প্রকল্প নিয়ে এ কথা বলছিলেন তখন তাঁর পাশেই বসে ছিলেন ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায়,পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আরাবুল ইসলাম প্রমুখ। পঞ্চায়েত প্রধানের এহেন মন্তব্যে কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছে দল। তবে পঞ্চায়েত প্রধানের বিতর্কিত মন্তব্যের পর ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, “সরকার সকলের জন্য স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দিচ্ছে। এর সাথে রাজনীতির কোন যোগ নেই।”
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি, বাম-সহ একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল। এ বিষয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিপিএমের জেলা সভাপতি শমীক লাহিড়ী বলেন, “স্বাস্থ্যসাথীর বিষয়টিই ভাঁওতা। উপরে মুখ্যমন্ত্রী ভাঁওতা দিচ্ছেন। আর নীচে এই সব প্রধানরা ভাঁওতাবাজি করছে। ঠিক সময় মানুষই উত্তর দেবেন।”
তবে মোদাসের হোসেন নিজের অবস্থানেই অনড়। তিনি বলেন, “দিদির দেওয়া এই কার্ড দেখিয়ে ৫ লাখ পর্যন্ত টাকা পাওয়া যাবে চিকিৎসার জন্য। তাই ভোট দেওয়ার সময় যেন এই কথা মাথায় থাকে। এখান থেকে (তৃণমূল) কার্ড নেবে আর ভোটের সময় অন্য দলের ছায়ায় যাবে সেটা করা যাবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy