এ বার ভাঙড়ে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে আহত হলেন এক জন। —প্রতীকী চিত্র।
আবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা বাংলায়। এ বার বিস্ফোরণে তৃণমূল কর্মীর বাড়ির ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ল। আহত হলেন ওই তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় বিধানসভা এলাকার ঘটনা। মঙ্গলবার বিকেল থেকে এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাশীপুর থানার গানের আইট গ্রাম। বিস্ফোরণের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় শরিফুল মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ির একাংশ ধসে গিয়েছে। আহত হয়েছেন শরিফুলের স্ত্রী। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
শরিফুলের দাবি, তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে কয়েক জন বোমা ছুড়েছে। মোট তিনটি বিস্ফোরক ফেলা হয়। অভিযুক্তরা সবাই আইএসএফ কর্মী বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা শাসকদলের ওই কর্মীকেই দায়ী করেছে আইএসএফ। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা মজুত করে রাখা ছিল। সেখান থেকেই এই দুর্ঘটনা। এখন নিজেকে বাঁচাতে তৃণমূল কর্মী মিথ্যে কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। অন্য দিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘‘তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীর শরীরের ৭০ শতাংশ অংশ পুড়ে গিয়েছে। আমি শওকত মোল্লাকে (বিধায়ক এবং ভাঙড়ে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক) অনুরোধ করছি, যেন মহিলা ঠিক মতো চিকিৎসা পান।’’ তাঁর অভিযোগ, বার বার ওই তৃণমূল কর্মীকে আইএসএফে যোগ দিতে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আইএসএফের অভিযোগ প্রসঙ্গে আরাবুলের মন্তব্য, ‘‘ওরা মিথ্যাবাদী।’’ এই চাপান-উতোরের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কাশীপুর থানার পুলিশ। চলছে তদন্ত।
গত কয়েক দিন ধরে পর পর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ এবং হতাহতের ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। রবিবার সন্ধ্যাতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়ে অন্তত তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মঙ্গলবার মালদহের ইংরেজবাজারে একটি বাজির গুদামে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২ জনের। টানা প্রায় ৯ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই বাজি কারবারিরা আড়ালে বিস্ফোরক তৈরি করতেন। সেখান থেকেই দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। ইতিমধ্যে এগরার কাণ্ড নিয়ে হাই কোর্টে মামলা চলছে। তার মধ্যেই বিস্ফোরণের খবর মিলল ভাঙড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy