Advertisement
০২ মে ২০২৪
Murder Case

জয়নগরে শুটআউট, মসজিদে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত তৃণমূল নেতা

বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন সইফুদ্দিন লস্কর। তৃণমূলের এই নেতাকে সোমবার সকালে গুলি করে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনি মসজিদে নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন।

An image of death

সইফুদ্দিন লস্কর। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
জয়নগর শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৫৪
Share: Save:

কালীপুজোর পরের সকালেই খুন। জয়নগরে এক তৃণমূল নেতাকে সোমবার ভোরবেলা গুলি করে খুন করা হয়েছে। তিনি মসজিদে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁকে আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। এক রাউন্ড গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানা এলাকার বামনগাছি গ্রামের। ওই গ্রামেরই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন সইফুদ্দিন লস্কর (৪৩)। তিনি এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির দায়িত্বও সামলাতেন। সইফুদ্দিনর স্ত্রী বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ মসজিদে নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। পথে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলি তাঁর কাঁধে লাগে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন সইফুদ্দিন।

গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় সইফুদ্দিনকে উদ্ধার করে তাঁরা জয়নগর ১ ব্লকের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

সইফুদ্দিনের মৃত্যুতে বামনগাছি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকায় তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন বলে দাবি তৃণমূল সূত্রে। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দার। তিনি এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকেই দায়ী করেছেন। বিভাস বলেন, ‘‘নমাজ পড়তে গিয়ে যে সইফুদ্দিন এ ভাবে খুন হবে, আমরা ভাবিনি। ও এলাকায় জনপ্রিয় ছিল। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করত। গরিব মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছে। ওর কোনও শত্রু আছে বলে আমার জানা নেই। কারা কেন এই কাজ করল, জানি না। যারা করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।’’

বিধায়ক আরও বলেন, ‘‘রাজনীতিতে যারা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে, তারাই এখন তৃণমূল নেতাদের ‘টার্গেট’ করেছে। এর প্রতিকার হওয়া দরকার। এই ঘটনায় অবশ্যই রাজনীতির যোগ আছে। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। বিরোধীদের ওই এলাকায় কোনও অস্তিত্ব নেই। তারা ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে।’’

মৃতের বাবা ইলিয়াস লস্কর সিপিএমের দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার ছেলের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা নেই। কারও কোনও ক্ষতি করেনি। অঞ্চল দখল করার জন্য। বিরোধীরা চক্রান্ত করে এটা করল। সিপিএম এর সঙ্গে জড়িত আছে।’’

বারুইপুর এলাকার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এক জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কারা এই ঘটনা ঘটাল, আর কারা এর সঙ্গে জড়িত, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Case Shootout Tmc Leader Death News
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE