পুড়ে খাক সংসার। নিজস্ব চিত্র।
দলীয় গোষ্ঠীকোন্দলে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাসন্তীর উত্তর ভাঙনখালিতে। শনিবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য এসেছে সুন্দরবন তৃণমূলের দুই বিধায়কের দ্বন্দ্ব। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ডাকা হয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের।
শনিবার রাতে ভাঙনখালির তৃণমূল কর্মী আব্দুর রহমানের বাড়িতে আগুন লেগে যায়। তাঁর অভিযোগ, দলের অন্য গোষ্ঠীই আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। খবর পেয়ে রবিবার ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে যান বাসন্তীর বিধায়ক গোবিন্দ নস্কর।
পুলিশ এবং তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কাঁঠালবেড়িয়া পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনা নিয়ে বাসন্তীর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মন্টু গাজির সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আমান লস্করের অনুগামীদের বিবাদ শুরু হয়। সুন্দরবন এলাকায় তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মন্টু গাজি গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর এবং আমান লস্কর বাসন্তীর বিধায়ক গোবিন্দ নস্করের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
আমান লস্করের সম্পর্কিত ভাই আব্দুর রহমানের অভিযোগ, বাসন্তী ব্লক তৃণমূল সভাপতি মন্টু গাজির ঘনিষ্ঠ লোকজন তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। আমান লস্করের দাবি, আরএসপি থেকে দলে আসা কিছু লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাসন্তীর বিধায়ক গোবিন্দ নস্করেরও অভিযোগ, ‘‘গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের ইন্ধনে আমার বিধানসভা এলাকায় গোলমাল পাকাচ্ছে মন্টু ও তার দলবল। বিষয়টি উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’ সব অভিযোগ উড়িয়ে মন্টুর দাবি, ‘‘আমি গোষ্ঠী রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।’’ দলীয় বিধায়কের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে জয়ন্তবাবুর পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘গোবিন্দবাবুর হয় তো মতিভ্রম হয়েছে।’’ জেলা তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যান শক্তি মণ্ডল, ‘‘ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি দলগত ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy