Advertisement
E-Paper

পুনর্বাসন পেলে সরতে রাজি ব্যবসায়ীরা

বনগাঁ শহরে প্রস্তাবিত উড়ালপুল বা রেলওয়ে ওভারব্রিজ (আরওবি) তৈরির কাজ দ্রুত শুরু করতে তৎপর হল প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০০

বনগাঁ শহরে প্রস্তাবিত উড়ালপুল বা রেলওয়ে ওভারব্রিজ (আরওবি) তৈরির কাজ দ্রুত শুরু করতে তৎপর হল প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার যশোর রোড সম্প্রসারণের জন্য এই জাতীয় সড়কের দু’পাশে সরকারি জমি দখল করে থাকা দোকানদারদের নিয়ে বৈঠক করেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। বনগাঁ শহরের নীলদর্পণ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ওই বৈঠকে ছিলেন মহকুমাশাসক সুদীপ মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য, এসডিপিও অনিল রায়।

পুরসভা ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ শহরের প্রস্তাবিত উড়ালপুলটি স্থানীয় যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠ স্কুলের সামনে থেকে শুরু হয়ে হীরালাল মূর্তির সামনে শেষ হওয়ার কথা। প্রস্তাবিত উড়ালপুলটি ১১১৫ মিটার লম্বা এবং সাড়ে ১০ মিটার চওড়া হওয়ার কথা। উড়ালপুলের দু’পাশে সাড়ে ৫ মিটার করে দু’টি সার্ভিস রোড হবে। তৈরি হবে নিকাশি নালা ও সাবওয়ে। পুরো প্রকল্পটির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের মিনিস্ট্রি অব রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়ে থেকে বরাদ্দ হয়েছে ৮১ কোটি টাকা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের দুর্গাপুজোর আগে এই কাজের জন্য যে দোকান এবং বাড়ি উচ্ছেদ করা হবে সেই তালিকা তৈরি হয়। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সেই সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের ডাকা হয়েছিল। সেখানে তাঁরা পুর্নবাসনের বিষয়ে জানতে চান। বিশ্বজিৎবাবু তখন জানান, সরকারের ঘোষিত নীতি হল, কাউকে উচ্ছেদ করে উন্নয়ন হবে না। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন পেলে তাঁদের সরে যেতে আপত্তি নেই।

পুরপ্রধান বলেন, ‘‘সমীক্ষা অনুযায়ী সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচশো। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বনগাঁ শহরের বাজার এলাকায় তিনটি মার্কেট তৈরি করে সেখানে তাঁদের পুর্নবাসন দেওয়া হবে।’’

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিধাননগরে নগরোন্নয়ন ভবনে একটি বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক অন্তরা আচার্য। শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘আমাদের দ্রুত কাজ শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার পুনর্বাসন দেবে।’’

ওই উড়ালপুলের জন্য যশোর রোডের দু’পাশে ৬৬টি প্রাচীন গাছ কাটা হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গাছ কাটার জন্য বন দফতরের অনুমতি নিয়ে টেন্ডার ডাকা হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই গাছ কাটার কাজ শুরু হবে। আজ, শনিবার ফের এক বার ওই উড়ালপুলের জন্য সমীক্ষা হওয়ার কথা। মাপজোকের সময়ে উপস্থিত থাকবেন পুলিশ-প্রশাসন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা।

যশোর রোডের যানজটের কারণে বনগাঁ থেকে সড়ক পথে কলকাতা যেতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা। যে কারণে লোকজন ট্রেনেই যাতায়াত পছন্দ করেন। সকলেই চাইছেন, দ্রুত শুরু হোক উড়ালপুল তৈরির কাজ।

Rehabilitation Businessman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy