নিজেদের বেতন, ভাতা এবং চুক্তিভিত্তিক চাকরির দাবিতে এর আগেও ভেসেল ধর্মঘট হয়েছে। দাবি না মেটায় ফের ধর্মঘটের ডাক দিলেন কাকদ্বীপ-কচুবেড়িয়ায় ফেরি পারাপারের সঙ্গে যুক্ত অস্থায়ী কর্মীরা। ২২ মার্চ থেকে লাগাতার ধর্মঘটে পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নিত্যযাত্রীরা। একই পথে হাঁটতে চলেছেন নামখানার ভেসেলকর্মীরাও।
কাকদ্বীপ থেকে সাগরে মুড়িগঙ্গা পার হওয়ার একমাত্র উপায় ফেরি। দিনে প্রায় ৪-৫ হাজার লোক পারাপার করেন। গাড়ি নিয়ে নামখানায় নদী পেরিয়ে বকখালি এবং ফ্রেজারগঞ্জের দিকে যেতে একমাত্র ভরসা বার্জ। দু’টি জায়গাতেই পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের অধীনে ঠিকাদার সংস্থার কর্মী হিসেবে পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৮৪ জন অস্থায়ী কর্মী। গঙ্গাসাগর মেলার আগেও এ বছর সমস্যা তৈরি হয়েছিল একই দাবিতে।
আইএনটিটিউইসি অনুমোদিত ভেসেল কর্মী ইউনিয়নের নেতা শক্তিপ্রসাদ মাইতির দাবি, শ্রমিকদের ইএসআই, পিএফ চালু করে তাঁদের চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন পরিবহণ কর্তারা। বেতনের বৈষম্য রয়েছে বলে জানুয়ারি মাসে কেউ বেতন নেননি। সে কারণে শ্রমিকেরা কাজ করবে না বলে দিয়েছেন।
যদিও এর আগে ভূতল পরিবহণের কর্তারা দাবি করেছিলেন, সব সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিবহণ শ্রমিকদের দাবি, সে সব কিছুই মেলেনি। সে কারণে প্রতিবাদে গত এক মাস থেকে বেতন নেননি তাঁরা। মার্চের অর্ধেক কেটে গেলেও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন এখনও আসেনি। তৃণমূলের অনুমোদনে চলা যে কোনও সংগঠনের উপরে নির্দেশ রয়েছে, ধর্মঘট না করার। সে কারণে এ বার ইউনিয়নের ব্যানার সরিয়ে রেখেই আন্দোলন চালাবেন বলে জানিয়েছেন কর্মীরা।
সোমবার নামখানায় ভেসেল কর্মীদের একটি বৈঠকও ডাকা হয়েছে। সেখানেও ধর্মঘট ডাকার ইঙ্গিত মিলেছে।
নামখানা, কাকদ্বীপ-কচুবেড়িয়া ভেসেল ইউনিয়নগুলির সভাপতি দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের সহ সভাপতি শক্তিপদ মাইতি। তাঁর কথায়, ‘‘শ্রমিকদের নানা অসুবিধা রয়েছে। সেগুলির দিকে নজর দেওয়া হয়নি বলে তারা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ধর্মঘটে যাচ্ছেন। ইউনিয়নের নেতাদের এখানে ভূমিকা নেই।’’ তবে ফেরি পারাপারের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের তৃণমূল অনুমোদিত একটিই সংগঠন রয়েছে।
পরিবহণ নিগমের তরফে কচুবেড়িয়ায় কর্মরত ট্রাফিক অফিসার আশু মণ্ডল বলেন, ‘‘শ্রমিকদের এই দাবিগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy