Advertisement
E-Paper

ফের দুর্যোগের আশঙ্কা, দক্ষিণে জারি সতর্কতা

নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগরের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধের মাটি আলগা হয়ে যায়। বেশ কয়েক জায়গায় বাঁধ উপচে ও ফাটল দিয়ে এলাকায় জলও ঢোকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:২৪
চিন্ময়ী: শিল্পীর পরিশ্রমে সজ্জিত হচ্ছেন দেবী। বারাসতে ছবিটি তুলেছেন সুদীপ ঘোষ

চিন্ময়ী: শিল্পীর পরিশ্রমে সজ্জিত হচ্ছেন দেবী। বারাসতে ছবিটি তুলেছেন সুদীপ ঘোষ

বঙ্গোপসাগর উপকূলে ফের তৈরি হয়েছে দুর্যোগের আশঙ্কা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উপকূল এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। সেই সঙ্গে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এ দিকে, শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে পূর্ণিমার কটাল। নিম্নচাপ ও কটালের জোড়া ধাক্কায় বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন উপকূল এলাকার বাসিন্দারা।

গত কটালেই নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগরের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধের মাটি আলগা হয়ে যায়। বেশ কয়েক জায়গায় বাঁধ উপচে ও ফাটল দিয়ে এলাকায় জলও ঢোকে। এ বার জল বাড়লে কী হবে, তা ভেবেই আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার মানুষ।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। ১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের জন্য ‘লাল সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। ওই সময়ে কোনও মৎস্যজীবী নদী বা সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারবেন না। নদীতে থাকা মৎস্যজীবীদের শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে নিরাপদ স্থানে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে শুক্রবার সকাল থেকে উপকূল এলাকায় মাইকে প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় আমন ধানের চাষ হয়েছে। ভারী বৃষ্টি ও পূর্ণিমার কটালে যাতে চাষের জমিতে জল না জমে, সে জন্য কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে চাষিদের সতর্ক করা হয়েছে। সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা এলাকায় প্রচুর পান চাষ হয়। ঝড়ের আগে পানের বরজের চারপাশে বাঁধন দিতে বলা হয়েছে। আনাজ বাগানের চারপাশে নালা কাটতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফ্লাড শেল্টারগুলিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তৈরি আছেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।

এ দিকে, ইলিশের মরশুমে বার বার দুর্যোগের পূর্বাভাসে ব্যাহত হচ্ছে মাছ ধরা। বাদল দাস নামে কাকদ্বীপের এক মৎস্যজীবী বলেন, “বার বার প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। এখন ইলিশের মরশুম। কিন্তু দুর্যোগের জন্য সমুদ্রে যাওয়া যাচ্ছে না।”

সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, “নিম্নচাপ ও ষাঁড়াষাঁড়ি কটাল আছে। তাই বিভিন্ন এলাকায় খারাপ নদীবাঁধগুলি সেচ দফতর থেকে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে।”

kakdwip Bay Of Bengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy