Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

পুরনো স্ত্রীকে চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন, ধৃত স্বামী

পুরনো স্ত্রী ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। নতুন সংসার পাতেন। স্বামীও নতুন করে বিয়ে-থা করে সংসার শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। পুরনো স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল প্রথম স্বামীকে। পুলিশের দাবি, পুরনো স্ত্রীকে খুন করবেন বলে ওই যুবক নাকি চপার তৈরি করিয়েছিলেন! শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিঙের তেঁতুলবেড়িয়ায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ক্যানিং শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৬ ০৩:০৬
Share: Save:

পুরনো স্ত্রী ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। নতুন সংসার পাতেন। স্বামীও নতুন করে বিয়ে-থা করে সংসার শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। পুরনো স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল প্রথম স্বামীকে। পুলিশের দাবি, পুরনো স্ত্রীকে খুন করবেন বলে ওই যুবক নাকি চপার তৈরি করিয়েছিলেন!

শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিঙের তেঁতুলবেড়িয়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম শেরিনা ঢালি (২৫)। তাঁর বাবা সেকেন্দার মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে শেরিনার স্বামী সাইফুদ্দিন ঢালিকে ধরা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর আটেক আগে ক্যানিঙের গোপালপুর গ্রামের শেরিনার সঙ্গে প্রেম করেই বিয়ে হয়েছিল পাড়ারই ছেলে সাইফুদ্দিনের। ওই দম্পত্তির এক ছেলে ও এক মেয়ে। অভিযোগ, সাইফুদ্দিন প্রায়ই নেশা করে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করতেন।

ইতিমধ্যে শেরিনার সঙ্গে দেওর আব্দুর রহমান ঢালির সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দু’জনে মুম্বই পালিয়ে গিয়ে বিয়েও করেন। সাইফুদ্দিনও অন্যত্র বিয়ে করেন। সম্প্রতি শেরিনা গ্রামের বাড়িতে ফিরেছিলেন।

শনিবার সন্ধ্যায় শেরিনা তাঁর জা ফতেমা বিবির সঙ্গে দাঁড়িয়া বাজারে এক চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সে সময়ে তাঁদের পিছু নেন সাইফুদ্দিন। তেঁতুলবেড়িয়া খাল পাড়ের কাছে এসে ধারাল চপার দিয়ে শেরিনাকে কোপাতে থাকেন। পালিয়ে যান ফতেমা। পরে তিনিই ফোন করে সকলকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে খাল পাড় থেকে শেরিনার দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়। রাতে তেঁতুলবেড়িয়ায় বোনের বাড়ি থেকে সাইফুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় সাইফুদ্দিন জানিয়েছেন, শেরিনা ফিরে আসার পরে তিনি পুরনো স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি শেরিনা। সেই রাগেই খুনের পরিকল্পনা করেন ওই যুবক। এক মাংস বিক্রেতার কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে চপার বানান। সেই চপার দিয়েই শেরিনাকে কুপিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ। শেরিনার বাবা বলেন, ‘‘সাইফুদ্দিন নেশা করে এসে আমার মেয়েকে মারধর করত। অনেকবার তাকে বলেও কাজ হয়নি। পরে মেয়ে দেওরকে ভালবেসে বিয়ে করে। কিন্তু সাইফুদ্দিন তারপরেও মেয়েকে ভাল থাকতে দেয়নি। প্রাণটাই কেড়ে নিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Woman stabbed killed ex-husband Canning
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE