প্রতিবাদ: বিক্ষুব্ধ মহিলারা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
অনেক বছর ধরেই এলাকার মানুষ রেললাইন পেরিয়ে যাতায়াত করেন। সেই পথ লোহার গার্ডরেল দিয়ে আটকে দিয়েছিলেন রেল কর্তৃপক্ষ। মহিলারা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। গার্ডরেল লাগাতে বাধা দেন। শেষে গার্ডরেল ভেঙে দিয়ে মহিলারা বিক্ষোভ দেখান। বাধা পেয়ে ফিরে যান রেলের কর্তারা।
বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ স্টেশনের কাছে বাবুপাড়ায় রেলের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছে। রেললাইনের একপাশে বাবুপাড়া, অন্য পাশে নয়াগোপালগঞ্জ। নয়াগোপালগঞ্জের মহিলারাই এ দিন বিক্ষোভ দেখান।
তাঁদের বক্তব্য, নয়াগোপালগঞ্জ, নয়াকামারগ্রাম, ঢাকাপাড়া, গোলকনগর সহ পুরসভার ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েক হাজার মানুষ ওই রেলপথ পেরিয়ে যাতায়াত করেন। স্থানীয় বাসিন্দা রুবি বালা বলেন, ‘‘স্বাধীনতার আগে থেকে আমরা এই পথ দিয়ে যাতায়াত করছি। ঘুরপথে যশোর রোডে উঠতে প্রায় তিন কিলোমিটার বেশি পেরোতে হয়। অসুস্থ রোগী, প্রসূতিকে ভ্যানে করে দ্রুত আমরা রেলপথ পেরিয়ে নিয়ে যাই। রেল কর্তৃপক্ষকে এ দিন অনুরোধ করেছিলাম, অন্তত ভ্যানে রোগী নিয়ে যাওয়ার মতো জায়গা ফাঁকা রাখতে। তাঁরা সেই অনুরোধও শোনেননি। তখন মহিলারা গার্ডরেল ভেঙে দেন।’’
মহিলাদের অভিযোগ, রেলের পক্ষ থেকে তাঁদের বাড়িতে সমন পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে। রেল পুলিশ তাঁদের ছবি তুলে রেখেছে। বাসিন্দাদের বক্তব্য, এলাকার চাষিরা ভ্যানে করে আনাজ হাটে-বাজারে নিয়ে যান। স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা রেলপথ দিয়ে যাতায়াত করেন। সাইকেল, ভ্যান, বাইক চলে।
কিন্তু রেলপথ উন্মুক্ত থাকলে তো বিপদের আশঙ্কা থাকে। স্থানীয় বাসিন্দা শিবশঙ্কর বণিক বলেন, ‘‘২৫ বছর আগে রেল একবার পথটি বন্ধ করতে পদক্ষেপ করেছিল। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে তা রুখে দিয়েছিলাম। আমাদের দাবি ছিল, আন্ডারপাস করে পথটি আটকে দিক রেল। তখন রেলকর্তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু আন্ডারপাস হয়নি।’’
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় যেখানে উন্মুক্ত পথ রয়েছে, তা গার্ডরেল দিয়ে আটকে দেওয়া হচ্ছে দুর্ঘটনা বন্ধ করতে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গার্ডরেল দেওয়া হচ্ছে। বাসিন্দারা বাধা দেওয়ায় কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy