ব্যারাকপুর।
কোথাও প্রভাতফেরিতেই যোগাসন, কোথাও বিশেষ ধরনের প্রাণায়াম, কোথাও আবার সুইমিং পুলে সাঁতারের বদলে যোগাসন।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার নানা প্রান্তে রবিবার সকাল থেকে বিশ্ব যোগ দিবস পালিত হল এ ভাবেই।
ব্যারাকপুর সেনা ছাউনির অসম ইউনিটে সেনাবাহিনীর জওয়ানেরা সকাল ৬টায় যোগাসনের একটি অনুষ্ঠান করেন। যোগাসনে বসেন কল্যাণীর মহকুমাশাসক স্বপনকুমার কুণ্ডু এবং তাঁর দফতরের কর্মীরা।
স্বপনবাবু বলেন, ‘‘যোগ ব্যায়াম মন ও শরীরকে একাত্ম করে। সকলেই উৎসাহিত হয়েছেন।’’
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রতনলাল হাংলুও স্বেচ্ছাসেবক এবং ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এ দিন সাত সকালেই পুরোমাত্রায় যোগ দিবস পালন করেছেন। নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শও দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। ব্যারাকপুরের ওয়ার্ল্ড যোগ সোসাইটির উদ্যোগে সকালে শ্রমজীবী মহিলা ও শিশুদের মানসিক চাপ কমাতে বিশেষ ধরনের প্রাণায়াম করানো হয়। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু যোগ-দিবস নয় সারা বছর ধরেই এই কর্মশালা চলে। নোনাচন্দনপুকুরের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও এ দিন যোগাসন হয়েছে সুইমিং পুলে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাই জানিয়েছে, রোজকার সাঁতার কাটার বাইরে জলে যোগব্যায়াম করে তারা মজা পেয়েছে বেশি। তাই নতুন রুটিও হয়েছে সাঁতার কাটার আগে জলে যোগ ব্যায়াম একবার অবশ্যই হবে।
বনগাঁর গাঁড়াপোতা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে রবিবার সাকালে স্থানীয় ছয়টি স্কুলের পড়ুয়ারা নানা ধরনের যোগাসন এবং প্রাণায়ম প্রদর্শন করেন। সহযোগিতা করেছে এনসিসি-র ৬ নম্বর বেঙ্গল ব্যাটালিয়ন। মঞ্চ বাধা হেয়েছিল। সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ওই যোগ প্রশর্দনী চলেছে। এ ছাড়া বনগাঁ স্টেডিয়ামেও এনসিসির পক্ষ থেকে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে যোগের আয়োজন করা হয়েছিল। হাবরা অশোকনগর বাগদা থানা এলাকাতেও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে যোগের আয়োজন করা হয়েছিল।
অন্য দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ মহকুমা বিভিন্ন এলাকায় যোগ দিবস পালিত হল। পতঞ্জলি যোগ সংস্থার পরিচালনায় ডায়মন্ড হারবারের ভারত সেবাশ্রমের একটি ভবনে স্থানীয় ছাত্রছাত্রী অভিভাবকেরা যোগ চর্চায় যোগ দিয়েছিল। একই ভাবে কুলপির সারদা যোগ অ্যান্ড জিমন্যস্টি সেন্টারের পরিচালনায় স্থানীয় একটি হাইস্কুলের অডিটোরিয়ামে যোগাসন হয়। সকাল ৬টায় প্রভাত ফেরীর জাতীয় পতাকা উত্তোলনের যোগাসনে অংশ নিয়েছিল ছাত্রছাত্রী ও অভিবাভকেরা। কাকদ্বীপ এলাকা-সহ পাথরপ্রতিমা, সাগর, নামখানা এলাকার স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও যোগাসনে অংশ নেয়। কাকদ্বীপ মহাবিদ্যালয়ের ৩৩ নম্বর এনসিসি গ্রুপ থেকে এর আয়োজন করা হয়েছিল। বিশ্বযোগ দিবস উপলক্ষ্যে এক যোগ শিবির সম্পন্ন হল বাসন্তীর আদি দুর্গা মণ্ডপ প্রাঙ্গনে। শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ-সহ প্রায় ১০০ জন ওই শিবিরে যোগ দেন। পতঞ্জলি যোগপীঠ সংস্থা ও বাসন্তীর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক দলের যৌথ উদ্যোগে ওই শিবিরের আয়োজন করা হয়। মহিলা, প্রবীণ নাগরিকদের দাবি মেনে এ বার থেকে সপ্তাহে তিন দিন করে যোগ শিবির চলবে বলে জানান সংস্থার এক সদস্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy