Advertisement
E-Paper

বিজেপির সভার দিন একই মাঠে লাগানো হল তৃণমূলের পতাকা

বিজেপির সভার জন্য আগাম অনুমতি নেওয়া ছিল। কোন মাঠে সভা হবে, তা-ও ঠিক করা হয়েছিল পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই। কিন্তু সোমবার সকালে সেই মাঠেই প্রস্তুতির জন্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা গিয়ে দেখলেন, মাঠে দলীয় পতাকা টাঙাচ্ছে তৃণমূলের লোকজন। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। তৃণমূলের লোকজন বিজেপির গুটিকয় কর্মী-সমর্থককে চোখ রাঙিয়ে সেখান থেকে হঠিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:২০
বিজেপির সভার মাঠে ঝুলছে তৃণমূলের পতাকাও। নিজস্ব চিত্র।

বিজেপির সভার মাঠে ঝুলছে তৃণমূলের পতাকাও। নিজস্ব চিত্র।

বিজেপির সভার জন্য আগাম অনুমতি নেওয়া ছিল। কোন মাঠে সভা হবে, তা-ও ঠিক করা হয়েছিল পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই। কিন্তু সোমবার সকালে সেই মাঠেই প্রস্তুতির জন্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা গিয়ে দেখলেন, মাঠে দলীয় পতাকা টাঙাচ্ছে তৃণমূলের লোকজন। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। তৃণমূলের লোকজন বিজেপির গুটিকয় কর্মী-সমর্থককে চোখ রাঙিয়ে সেখান থেকে হঠিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য সভা হয়েছে ওই মাঠেই। তবে একটু তফাতে। শাসক দলের পতাকা, ফেস্টুন খুলে ফেলার সাহস করেননি বিরোধীরা। তৃণমূলের পতাকার পাশেই টাঙানো হয় বিজেপির পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন।

রাজ্য জুড়ে পরিবর্তনের পালে ইদানীং উল্টো হাওয়া লেগেছে। বিরোধী হিসাবে দ্রুত উঠে আসা বিজেপি কার্যত শাসক দলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। ইতিমধ্যেই বসিরহাট উপ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য। পুরুলিয়ার একটি কলেজে ছাত্র সংসদ দখল করেছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। সেই আবহে রাজ্যের নানা প্রান্তে তৃণমূল-বিজেপির সংঘাত বাড়ছে। পাড়ুইয়ের গ্রামে ইতিমধ্যেই বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষে চার জন খুনও হয়েছেন। কাকদ্বীপে বিজেপির সভার মাঠে একই দিনে তৃণমূলের পতাকা লাগানোর ঘটনায় প্রবল সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিজেপির জেলা নেতারা। তাঁদের অনেকেরই বক্তব্য, বিজেপির উত্থানে ভয় পেয়েই এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছে শাসক দল। কিন্তু এতে তৃণমূল আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে বলেই তাঁদের মত।

কী হয়েছে এ দিন কাকদ্বীপে?

দুর্নীতি বিরোধী সপ্তাহ পালন কর্মসূচির অধীনে কাকদ্বীপের বাসন্তী ময়দানে সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য দেবাশিস মণ্ডলের নেতৃত্বে সকাল থেকেই শাসক দলের কর্মী-সমর্থকেরা সভা প্রস্তুতিতে বাধা দেন। বিজেপির কাকদ্বীপ মণ্ডল সভাপতি কৌশিক দাসের অভিযোগ, “তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য আমাদের বলেন, এটা স্কুলের মাঠ, এখানে সভা করা যাবে না। এরপরেই ওরা সারা মাঠ জুড়ে তৃণমূলের দলীয় পতাকা লাগিয়ে দিয়ে যায়।” প্রশাসনের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও সভার কাজে শাসকদলের এই বাধা দেওয়ার নিন্দা করেছেন মঞ্চে উপস্থিত বিজেপির রাজ্য নেতা রাজকমল পাঠক।

বিজেপির সভার মাঠে তাঁদের দলের পতাকা লাগানোর কথা অস্বীকার করেননি দেবাশিসবাবু। তবে তিনি বলেন, “তৃণমূল সরকারের কাজে উপকৃত সাধারণ মানুষ দলীয় পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তাঁরাই ওই মাঠে পতাকা লাগিয়েছেন।” কাউকে হুমকি দেওয়া হয়নি বলেও তাঁর দাবি। দেবাশিসবাবু আরও বলেন, “কোনও রকম অনুমতি ছাড়াই ওই মাঠে সভা করা হয়েছে।” পুলিশের একটি সূত্র অবশ্য জানাচ্ছে, সভার জন্য আগাম অনুমতি নেওয়া হয়েছিল বিজেপির তরফে। দলের দক্ষিণ ২৪ জেলা সভাপতি বিকাশ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল সব জায়গাতেই গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে, বিজেপির সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছে।”

অন্য দিকে, বিজেপি ও যুবমোর্চার উদ্যোগে দুর্নীতি বিরোধী মিছিল হল হাসনাবাদেও। স্বচ্ছ ভারত গড়তে সোমবার দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় রাস্তা ঝাঁট দিলেন বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক তথা বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। অসমে আদিবাসী সম্প্রদায়ের উপরে জঙ্গিহানা, দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল সরকারের অপসারণ, সারদায় আমানতকারীদের টাকা ফেরত এবং পাকিস্তানে শিশুহত্যার প্রতিবাদে হাসনাবাদ, রামেশ্বরপুর, বরুণহাট এবং পাটলিখানপুর এলাকা থেকে বিজেপি নেতা-কর্মীদের পোস্টার, ব্যানার নিয়ে মিছিলে ভিড় ভালই জমেছিল।

southbengal kakdip tmc flag bjp
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy