পুনর্নিয়োগের দাবিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ ২৬৯ জন। — ফাইল ছবি।
হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি চলে গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তাতে স্থগিতাদেশ দেয়। এ বার চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ২৬৮ জন। তাঁদের দাবি, শীর্ষ আদালত তাঁদের বরখাস্তের হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিলেও রাজ্য সরকার তাঁদের চাকরিতে যোগ দিতে দিচ্ছে না। আগামী ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হবে।
পুনরায় চাকরিতে যোগদান করতে দেওয়া হোক এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ২৬৮ জন। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এই চাকরি চলে গিয়েছিল। পরে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্টের নির্দেশে। ২৬৮ জনকে মামলায় যুক্ত করতে নির্দেশ দেয়। এবং একই সঙ্গে জানায়, তাঁরা যে বৈধ উপায়েই চাকরি পেয়েছেন হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে তা তাঁদের প্রমাণ করতে হবে। এই অবস্থায় তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার তাঁদের চাকরিতে যোগদান করতে দিচ্ছে না। ২৬৮ জনের দাবি, যে হেতু শীর্ষ আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তাই তাঁদের নিয়োগ করা হোক। ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি রয়েছে।
প্রাথমিকে নিয়োগের মামলায় রাজ্য সরকার, মানিক ভট্টাচার্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। আবেদনের মূল বিষয় ছিল হাই কোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ এবং যে ২৬৮ জনকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাদের পুনর্নিযুক্তি।
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, হাই কোর্টের ২৬৮ জনকে বরখাস্তের নির্দেশ সঠিক নয়, তাই তার উপর স্থগিতাদেশ জারি হবে এবং ২৬৮ জনকে হাই কোর্টের একক বেঞ্চে গিয়ে তথ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে, তাঁদের নিযুক্তি আইনানুগ উপায়েই হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ২৬৮ জনকে মামলার পার্টি করতে হবে এবং তাঁদের বক্তব্য শুনবে আদালত। এই প্রেক্ষিতেই ২৬৮ জনের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট বরখাস্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিলেও তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল করছে না রাজ্য সরকার।
শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, ২৬৮ জন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগামী ১৮ নভেম্বর বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy