E-Paper

বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন পাঠকের, উত্তর দিল নির্বাচন কমিশন, বিভ্রান্তি কাটল?

মাননীয় পাঠক ঋত রায়চৌধুরী আনন্দবাজার পত্রিকায় পাঠানো চিঠিতে কিছু প্রশ্ন করেছিলেন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে প্রাপ্ত ব্যাখ্যা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৪৪
রাজাবাজারে এসআইআর-এর কাজে ব্যস্ত বিএলও।

রাজাবাজারে এসআইআর-এর কাজে ব্যস্ত বিএলও। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

প্রশ্ন: কোনও মহিলার ১৯৯০-এ জন্ম। পড়াশোনা প্রাথমিক পর্যন্ত। ২০১০-এ বিয়ে, পরে শ্বশুরবাড়ির পদবিতে ভোটার তালিকায় নাম। ২০০২-এ বাবা-মায়ের নাম থাকলেও উনি তাঁদের সঙ্গে ‘লিনিয়েজ’ কী ভাবে প্রমাণ করবেন?

উত্তর: মা-বাবার নামেই ফর্ম ভরতে পারেন। ইআরও মনে করলে হয়তো তাঁকে ডেকে কোনও একটা নথি দেখতে চাইতে পারেন, যেখানে আগের পদবি রয়েছে।

প্র: কোথাও বাংলায় ফর্ম দেওয়া হয়েছে, কোথাও ইংরেজিতে। অথচ বেশির ভাগ ভোটার তালিকা (২০০২ বা ২০২৫) বাংলায়। কম্পিউটারে বিএলও অ্যাপ ইংরেজিতে। কোন হরফে লিখবেন ভোটার?

উ: কমিশনের বক্তব্য, যে কোনও ভাষায় ফর্ম ভর্তি করা যাবে।

প্র: ইংরেজিতে কোনও কোনও নাম বা পদবির বিভিন্ন বানান লেখেন এক-এক জন। বিএলও যখন আপলোড করবেন, কী ভাবে করবেন? তখন তা না মিললে কী হবে? বানান ভুল হলে কার দায়িত্ব?

উ: কমিশনের বক্তব্য, বর্তমান ভোটার কার্ডে যে নামের বানান রয়েছে, লিখতে হবে তা-ই। সেটাই বিএলও-র আপলোড করার কথা। সেই নামের বানানে ভুল থাকলে, খসড়া প্রকাশের পরে তা সংশোধন করা যাবে।

প্র: অনেকেই ২০০২-এ নাম তোলাননি, বা তুলতে পারেননি। কী হবে?

উ: তাঁদের আত্মীয়ের কেউ ২০০২ সালের তালিকায় থাকলে সেই ভোটারকে নথি দাখিল করতে হবে না। তেমন মিল না থাকলে কমিশনের জানানো নথিগুলির মধ্যে একটি জমা দিতে হবে শুনানিতে ডাক পেলে।

প্র: এসআইআর-এর ফর্ম পূরণের কোনও নির্দেশাবলির লিঙ্ক আছে? ছাপা বা অনলাইনে? লিখিত আদেশনামা মেমো নম্বর সমেত?

উ: কমিশনের ওয়েবসাইটে বিধি রয়েছে। বিএলও বা হেল্পলাইনের সুবিধা থাকছে। স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে জানানো রয়েছে। বিএলএ-রাও জানেন।

প্র: ফেসবুকে পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশন ১১ দিন পরে ফর্ম পূরণ বিধি প্রকাশ করেছে। যাঁরা ফেসবুক করেন না, তাঁরা কী ভাবে জানবেন এই নিয়ম?

উ: ফেসবুক ছাড়াও এক্স হ্যান্ডল, এফএম রেডিয়োর মতো মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে। জেলা প্রশাসনগুলিকে বিধির নিবিড় প্রচার করতে বলা হয়েছে।

প্র: পিতা প্রয়াত হলে কার নাম দেওয়া সঙ্গত? প্রয়াত হলে কি লেট/প্রয়াত লেখার জায়গা আছে?

উ: পিতার উল্লেখ রাখা যেতেই পারে তিনি প্রয়াত হলেও। সে ক্ষেত্রে নাম লিখে পাশে বন্ধনীতে প্রয়াত কথাটা লিখে দেওয়া সম্ভব।

প্র: ২০২৫ অংশে কি প্রয়াত পিতা বা মাতার ভোটার কার্ড নম্বর দেওয়া যাবে?

উ: ফর্মের উপরের অংশে ভোটারের বর্তমান ভোটার কার্ডে পিতা-মাতার নাম থাকলে দেওয়া যাবে। সেখানে ভোটার কার্ডের নম্বর দেওয়া ঐচ্ছিক।

প্র: যাঁদের নাম নেই, তাঁদের জমি বা ফ্ল্যাটের দলিল কি গ্রাহ্য হবে? পাট্টা সরকারি। দলিলও তো সরকারের জায়গায় রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। পর্চাও সরকার দেয়। পাট্টা গ্রাহ্য হলে সরকারের দেওয়া দলিল বা পর্চা কেন হবে না?

উ: সরকারের থেকে পাওয়া কোনও সম্পত্তির তথ্য গ্রাহ্য। পর্চা বা রেজিস্ট্রেশন সরকার দিলেও, তা ব্যক্তিগত সম্পত্তির ভিত্তিতে।

প্র: ২০০২ এবং ২০২৫-এ ভোটার তালিকায় প্রচুর নাম ও পদবির বানান ভুল। সেগুলি কী ভাবে ঠিক করবেন?

উ: ২০২৫ সালের তালিকায় নাম ভুল থাকলেও, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে ফর্ম-৮ দাখিল করে সংশোধন করা যাবে যে কোনও বিষয়।

প্র: সংশ্লিষ্ট ভোটারের নাম ২০০২-এর ‘এসআইআর’ তালিকায় ছিল না, তবে তাঁর বাবা-মা-ঠাকুরদা-ঠাকুমার ছিল। তিনি অনলাইনে ওই অপশন বেছে ফর্ম ফিল-আপ করতে গিয়ে ২০০২-এর তালিকায় বাবা-মায়ের বিধানসভা কেন্দ্র, পার্ট নম্বর, সিরিয়াল নম্বর দেওয়ার পরে সার্চ অপশনে গেলে স্ক্রিনে ভেসে উঠছে ‘নো ডিটেলস ফাউন্ড’। তার পরে ফর্ম আর পূরণ করা যাচ্ছে না। এ বার?

উ: কমিশনের বক্তব্য, হার্ডকপিতে তেমন নাম থাকলে সেখান থেকেই মিলিয়ে নেওয়া হবে।

প্র: কোনও মহিলার ভোটার কার্ডে বিয়ের আগে পদবি এক রকম ছিল, পরে পদবি বদলেছে। তাঁর এপিকে সেই পদবি বদলায়নি। অথচ আধার কার্ড যে হেতু পরে হয়েছে, সেখানে বর্তমান পদবি-সহ আপডেটেড তথ্য আছে। এপিক-আধার কার্ডের তথ্যের মধ্যে ফারাক থাকলে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করাই যাবে না। কেন?

উ: কমিশনের বক্তব্য, প্রকৃত ভোটার যে অনলাইনে আবেদন করছেন, তা বুঝতে আধারকে মাধ্যম করা হয়েছে। তাতে ই-সই হওয়া সম্ভব, সে কারণে।

প্র: পুরনো এপিক কার্ডে অনেকেরই নাম, বাবা বা স্বামীর নাম, সম্পর্ক, নামের বানানে ভুল আছে। অনেকে হয়তো সেই কার্ড বদলাননি। তাঁরা এখন ভিন্‌ রাজ্যে বা দেশে থাকলে কী ভাবে ফর্ম পূরণ করবেন? কারণ, এপিক ও আধারের নাম ও বানানে ফারাক থাকলে ফর্ম ফিল-আপ করা যাবে না।

উ: এতে সমস্যা হচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। কিন্তু কমিশনের প্রযুক্তিতে সেই বিধিই নথিবদ্ধ রয়েছে। ফলে তার বাইরে কোনও কিছু মেলাতে পারবে না সফটওয়্যার।

(চলবে)

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Special Intensive Revision Election Commission of India BLO SIR West Bengal SIR Chief Electoral Officer West Bengal government

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy